google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html খেলনায় সাবধান - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Thursday, October 23

খেলনায় সাবধান

শিশুরা তো খেলবেই। খেলাতেই ওদের হাসি-আনন্দ। খেলতে খেলতে আনন্দে বেড়ে উঠুক আদরের সোনামণি, এমনটাই চাওয়া থাকে মা-বাবার। তবে সামান্য অসতর্কতার কারণে আনন্দময় খেলার মাঝেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। তাই খেলার সরঞ্জামটি আপনার শিশুর জন্য নিরাপদ কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বেশিরভাগ খেলনার মোড়কে লেখা থাকে সেটি কোন বয়সের উপযোগী, আর কী কী ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। খেলনা কেনার সময় এসব বিষয়ে খেয়াল রাখা ভালো:


এমন কিছু দিয়ে তাকে খেলতে দেওয়া যাবে না, যেটি তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। 

.কেমন খেলনা চাই ওর?
এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের একটু বড় আকারের খেলনা দিতে হবে। এ বয়সী শিশুরা না বুঝে খেলনা মুখের ভেতর ঢুকিয়ে গিলে ফেলতে পারে। তাই খেলনার আকার এমন হতে হবে, যেন শিশু খেলনাটি মুখে ঢোকালেও কোনো অবস্থাতেই সেটিকে গিলে ফেলতে না পারে। মার্বেল, ব্লক বা ছোট ব্রিক গেম এ বয়সীদের না দেওয়াটাই ভালো। টেডি বিয়ার বা অন্য কোনো বড় পুতুল কিনে দিতে পারেন ওদের। গাড়ি এবং অন্যান্য খেলনা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন খেলনাটিতে কোনো সুচাল বা শক্ত অংশ না থাকে। কারণ, এ ধরনের অংশে হাত লাগলে শিশু আঘাত পেতে পারে।

খেলনাও থাক পরিষ্কার
ছোট্ট শিশুরা না বুঝে কত কিছুই তো করে। অনেক সময় খেলতে গিয়ে খেলার সরঞ্জামগুলোতে মুখ দিতে পারে। আবার খেলতে খেলতে অনেকে নিজের হাতও কামড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে খেলনায় ধুলো-ময়লা জমে থাকলে শিশু পেটের পীড়ায় ভুগতে পারে। তাই প্রতিদিন শিশুর খেলনাগুলো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এর ফলে শিশুর খেলনায় ময়লা জমে থাকবে না।

খেয়াল রাখুন ওর
শিশু তার নিজের মতো খেলছে খেলুক। তবে খেলার সময় শিশুর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। খেলার ছলেই তার কাছে থাকুন। অথবা একটু দূর থেকেই খেয়াল রাখুন ওর প্রতি। তবে শিশুকে বুঝতে দেওয়া যাবে না যে আপনি সারাক্ষণ ওকে খেয়াল করছেন। কারণ, কোনো কোনো সময় অতিরিক্ত নজরদারি শিশুর মানসিক বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
পুঁতি বা এ ধরনের কোনো ছোট জিনিস যেন ওর নাগালের মধ্যে না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

হঠাৎ দুর্ঘটনা
খেলতে খেলতে হঠাৎ সুস্থ শিশুটির প্রচণ্ড কাশি হতে পারে, শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে আপনার সোনামণির। খেলনা বা অন্য কোনো কিছু গিলে ফেলার কারণে এমনটা হতে পারে।

অনেক সময় শিশুরা নাক বা কান দিয়েও পুঁতির মতো ছোট কোনো কিছু ঢুকিয়ে ফেলতে পারে। নাকের ফুটো দিয়ে কিছু ঢুকিয়ে ফেললে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে থাকতে পারে, শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। আবার নাকে অস্বস্তির কারণে শিশু নিজের নাক বারবার ডলতে পারে। একটু বড় শিশুরা নাকে অস্বস্তিকর অনুভূতির কথা মা-বাবাকেও বলতে পারে।
কানের ফুটো দিয়ে কিছু ঢুকিয়ে ফেললে সেটিতে দীর্ঘদিন পর জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুর কানে ব্যথাও হয়ে থাকে।

দুর্ঘটনায় করণীয়
শিশু কোনো খেলনা গিলে ফেললে অথবা নাক বা কানের ফুটো দিয়ে ঢুকিয়ে ফেললে শিশুকে অতিসত্বর কাছের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।

যা করবেন না
কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নিজেরা শিশুর নাক বা কান থেকে কোনো জিনিস খুঁচিয়ে বের করতে চেষ্টা করবেন না। আপনার খোঁচাখুঁচির কারণে নাকের ভেতর ঢুকে থাকা ছোট কোনো জিনিস শিশুর শ্বাসনািলতে চলে যেতে পারে। কানের ভেতরের জিনিসটি কাঠি বা কটন বাডের সাহায্যে বের করতে গিয়ে খোঁচাখঁুচি করলে শিশুর কানে আঘাত লাগতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.