Sunday, June 14

অবৈধ আওয়ামী সরকারের কিছু চিরায়িত সমসাময়িক চিত্র

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ডাণ্ডাবেড়ির রাজনীতি শুরু করেছে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর কোনো বিধান নেই। কিন্তু কে মানে কার কথা। কথায় আছে না ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই’। এখন আওয়ামী লীগের হয়েছে এ অবস্থা। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কোনো আইন কিংবা নিয়মের তোয়াক্কাই করছে না। দলটির যখন যা মনে আসে, তাই করে যাচ্ছে। ডাণ্ডাবেড়ি কেবল দুর্ধর্ষ আসামিদের বেলায় পরানোর বিধান থাকলেও বর্তমান সরকার রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে এ অস্ত্রটি অহরহ ব্যবহার করছে। ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে রাজবন্দীদের অমানবিকভাবে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আটকের পর সম্মানিত ব্যক্তিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে খুনি ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর মতো আচরণ করা হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধিতে ডাণ্ডাবেড়ির কোনো বিধান নেই। কিন্তু কারাবিধি অনুযায়ী ভয়ঙ্কর, পেশাদার ও অভ্যাসগত অপরাধী, খুনি, এর আগে জেল খেটেছে এমন ধরনের আসামি অথবা জেলখানায় যে আসামিদের রাখা নিরাপদ নয় এমন বন্দিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরাতে পারে জেল কর্তৃপক্ষ অথবা এমন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী যাদের জেলখানায় রাখা অন্য আসামিদের জন্য বিপজ্জনক, তাদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখলে অন্যরা নিরাপদে থাকতে পারে। 




প্রকৃত অপরাধীদের জেলখানার ভেতরে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হলেও আদালতে হাজির করার পর বিচারকের সামনে ডাণ্ডাবেড়ি খুলে মুক্ত ও স্বাভাবিক অবস্থায় রাখাই হচ্ছে আইনের বিধান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এখন যাদের ডাণ্ডাবেড়ি পরানো হচ্ছে, তারা রাজবন্দী। সরকারের নির্দেশে রাজবন্দীদের রাজনৈতিক মামলায় আটকের পর মিথ্যা মামলা দায়ের করে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এরপরও বিচারক এমন অবস্থাতেও নির্বিকার থাকছে এবং রিমান্ড মঞ্জুর করছে, যা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। 
.