google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html মাহমুদের ম্যানেজারের দা​​য়িত্ব নিয়ে নাটক - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Tuesday, June 9

মাহমুদের ম্যানেজারের দা​​য়িত্ব নিয়ে নাটক

খালেদ মাহমুদজাতীয় দলের ম্যানেজারের পদে খালেদ মাহমুদের থাকা না-থাকা নিয়ে একটা নাটকই হয়ে গেল। প্রথমে জানা গেল তিনি নিজে থেকে অব্যাহতি চেয়ে আনুষ্ঠানিক ই-মেইল পাঠিয়েছেন। ভারত সিরিজেও আর থাকতে চান না। এরপর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ নিজে সেই সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করলেও জানিয়েছেন, বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আপাতত এই সিরিজটায় দা​য়িত্ব পালন করবেন। 
গতকাল রোববার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে ই-মেইল করে সরে যাওয়ার কথা জানান মাহমুদ। ‘পারিবারিক কারণে’ দেখিয়ে জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা জানিয়েছিলেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। বিসিবির একাধিক পরিচালক প্রথম আলোকে নিশ্চিতও করেছেন মাহমুদের চিঠি দেওয়ার বিষয়টি। শুধু প্রধান নির্বাহী নয়, বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান নাঈমুর রহমানকেও সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মাহমুদ। 
তবে দুপুরে মিরপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ বলেন, ‘পারিবারিক কারণে আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বোর্ডের সঙ্গে কথা বলার পর আপাতত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি। আমি এই সিরিজেও ম্যানেজারের দায়িত্বে থেকে যাচ্ছি। তবে বোর্ডকে অনুরোধ করব, এরপর যেন স্থায়ীভাবে একজন ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া হয়।’
গতকাল প্রথম আলোতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যদের তুলনায় মাহমুদকে ম্যানেজার করাটা বিসিবির জন্য একটু বেশিই ব্যয়বহুল। বিসিবির একটি সূত্রের তথ্য, গত বছর ভারতের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজ, এ বছরের বিশ্বকাপ এবং সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজের বেতন হিসেবে বিসিবি থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো নিয়েছেন মাহমুদ। এর মধ্যে শুধু বিশ্বকাপের ম্যানেজার হিসেবেই নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। এর সঙ্গে বাড়তি পারিশ্রমিক হিসেবে দৈনিক ভাতাও পেয়েছেন। বিশ্বকাপে তাঁর দৈনিক ভাতা ছিল প্রায় ১৪ হাজার টাকা। হোম সিরিজে দৈনিক ভাতা ৪ হাজার টাকা।
অতীতে যতবারই জাতীয় দলের জন্য বেতনভুক্ত ম্যানেজার নেওয়া হয়েছে, মাসিক বেতন কখনোই এক লাখ টাকার বেশি হয়নি। কিন্তু মাহমুদের ক্ষেত্রে মাসিক বেতনের অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। কোনো সিরিজের সময় এক মাসের কম বা বেশি হলে বেতনের টাকাও সেভাবে বেড়েছে-কমেছে। 
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিসিবির পরিচালক বা নির্বাচকেরা এর আগেও অনেকবার জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু বেতন তো দূরের কথা, দৈনিক ভাতা ছাড়া কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধাই তাঁদের দেওয়া হয়নি।
সরাসরি না বললেও এই প্রতিবেদন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাহমুদ। তাঁর ক্ষোভ অবশ্য অন্য জায়গায়। তিনি কত পারিশ্রমিক পান—এসব তথ্য সংবাদমাধ্যমে চলে আসাটা সহজভাবে নিতে পারেননি। এমনকি তিনি যে ম্যানেজারের পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ই-মেইল করেছিলেন, সেটিও কীভাবে ফাঁস হলো, এসব তদন্ত করে দেখার দাবি করেছেন মাহমুদ।