Sunday, June 14

কি সুন্দর দেশপ্রেম আর কি সুন্দর মুক্তিযুদধের কথিত স্বপক্ষের শক্তিদের আচরণ

লেখকঃ Tushar Miah


ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বৃটেন ও আছে,তারা ইউনিয়নের সাথে জোট করেছে একটি বৃহওর স্বার্থে তাদের কারো সাথেই কোন শত্রুতা নেই কিন্তু গত কয়েক বছরে যত ইউরোপিয়ান ইংল্যান্ডে প্রবেশ করেছে তাদের নিয়েই ক্যামেরুনসহ প্রতিটি মানুষ চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছে এর কারন হলো দেশের স্বার্থ আগে দেখছে তারা,কারন এরা এসেই বেনিফিট ক্লেইম করছে,এসেই বাড়ির জন্য এ্যাপলাই করছে,যাদের বাচ্চা নেই তারা অনেকেই অন্যের বাচ্চা নিয়ে এসে ও ক্লেইম করছে যেন তারা টাকা বেশী পায় এটা জাতীয় অর্থনীতিতে এখন হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে,এদেশে বসবাসরত নাগরিকদেরকেই এরা বাড়ি দিতে পারছে না অপরদিকে ঠিকই অতি গুরুত্বপূর্ণ কারন দেখিয়ে নেয়া হচ্ছে বাড়ি এবং কয়েকদিন পর কয়েকটি রুম আলাদাভাবে ভাড়া দিয়েও টাকা ইনকাম করছে সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এরা চাকরী করছে ক্যাশ ইন হ্যান্ডে,অনেক অল্প বয়সের নারীরা প্রসটিটিউশনে ঝুকে পরছে,কারন জব সিকার এ্যালাউনস ও কিছু টাকা নিয়ে এদের কোনভাবেই চলছে না শুধু অতিরিক্ত চাপ ও দেশের স্বার্থেই আজ বৃটেন আলাদা হতে কিংবা কিছু নতুন নিয়ম কানুন চালু করতে যাচ্ছে যাতে এদেশের মানুষের জীবন যেন বাধাগ্রস্থ না হয়,অর্থনৈতিকভাবে যেন এরা ক্ষতি গ্রস্থ না হয়,
সম্প্রতি যে ইলেকশন হলো ইউকে তে ডেভিড ক্যামেরুনের মূল এজেন্ডা ছিল এটাই, এতে করে সব ধরনের জনগন এমনকি এখানে মাইগ্রেন্ট হওয়া মানুষগুলো ও ভোট দিয়েছে,তাই বিপুল ভোটে জয়লাভ ও করেছে সবাই নিজের দেশ ও দেশের স্বার্থকেই সবার আগে দেখেছে তাই এরা ক্যামেরুনকেই নির্বাচিত করছে এবং ক্যামেরুন আশ্বাস দিয়েছে এটা থেকে বেড়িয়ে আসবেই তাই সে সচল রয়েছে এবং ২০১৭ সালে রেফারেনডাম হবে এটাই তাদের জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম সবার আগে নিজের দেশও দেশের মানুষের স্বার্থ সবার আগে কিন্তু বাংলাদেশে?একটি স্বাধীন দেশের উপর দিয়ে বিনা শুলক ও বিনা চেকিংয়ে চালাচল করবে ভারতীয় যান বাহন এতে করে যদি সেই সব গাড়ীতে গাজা ফেনসিডিল কিংবা অন্যান্য ড্রাগস ও চলে আসে তবে কিছুই করার থাকবে না কিংবা অস্র সাপ্লাই দিয়ে জঙ্গি প্রমান করতে একদলকে লেলীয়ে দিয়ে তারপর দেশের উপরে সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করে তবুও কিছু করার থাকবে না বাংলাদেশে সব মিলিয়ে ১৫লক্ষ ইনডিয়ান রয়েছে অবৈধ এবং যারাই উঁচু মাপের কোন পদে আছে এদেরকে প্রথম দুই বছর কোন ট্যাক্স প্রদান করতে হয় না তাই তারা কোন ঝামেলা ছাড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আর দেশের অভ্যন্তরে থাকা সাধারন মানুষ গুলো শুধু বেঁচে থাকতেই জীবনের শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে নৌ পথে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে ভীনদেশে শুধু একবেলা খেয়ে পরে থাকতেই দেশের বেকারদের আত্মকর্মসংস্থানের কোন সুযোগ সৃষ্টি না করেই এত উন্নতি এত জোয়ারে ভাসা দেশকে কেনই বা ২০০বিলিয়ন ডলার ঋন নিতে হবে? মোদী যে কত চালাক সেটা প্রমানিত,উনি ভাল করেই জানে হাসিনার জন সমর্থন শুন্যের কোঠায় আর এই সুযোগই নিচ্ছে মোদী,মোদীর দেশপ্রেম অপরিসীম বলতেই হবে,ঋন নামের কলা দেখিয়ে সুযোগ করে দিবে ৫০হাজার ইন্ডিয়ান্দের চাকুরীর সুযোগ আর যারা চাকুরী না পেয়ে ভীনদেশে পাড়ি জমাতে চাইবে উল্টো তাদেরকেই জেলে ভরে রাখবে কি সুন্দর দেশপ্রেম কি সুন্দর মুক্তিযুদধের স্বপক্ষের শক্তিদের দ্বারা চলছে দেশ,দেশের স্বার্থ যেখানে একজনের বেঁচে থাকার স্বার্থ ও ক্ষমতা হয়ে দাড়িয়েছে সেখানে দেশপ্রেম ও গনতন্ত্র যে কোথায় সেটা ভাল করেই জেনে গেছে প্রতিটি মানুষ একটি স্বাধীনদেশে নিজস্বতা ও জাতীয়তাবোধ হারালে দেশ যে মেরুদন্ডহীন হয়ে পরে আজকের এই অবস্থাই সেটা প্রমান করে.. ৩০লক্ষ শহীদ ও ২লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের কথা না ভেবেই দিব্যি দেশকে ইনিডয়ার সাথে সম্পৃক্ত করে ফেলছে, এমন অবস্থায় দেশ প্রেমিক নাগরিককে শেষ বারের মত রাস্তায় না নামলে স্বাধীনতা হয়ে থাকবে ইতিহাস মাত্র
নেপাল ভুটান কিন্তু আলাদা দেশ কিন্তু তাদের অস্তিত্ব পৃথিবীতে কেমন সেটা সহজেই বুঝা যায় বাংলাদেশ কি একই ভাগ্য বরন করতে যাচ্ছে?প্রেক্ষাপট কিন্তু তাই বলে! সময় হয়েছে আরেকটি স্বশস্ত্র যুদ্ধের ...