Monday, January 4
নরসিংদীতে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ॥ আহত ২০
রায়পুরা (নরসিংদী) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মাঝে সৃষ্ট সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক বাড়ীঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পক্ষেই নারী শিশুসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে আহতরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চিকৎসা নেয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে টেটাবিদ্ধে গুরুত্বর আহতবস্থায় বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
রবিবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরিজকান্দি, পীরপুর, মধ্যপাড়া ও বাজুইন্যাপাড়া এই ৪টি গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আসাদ মিয়ার সাথে একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিনের। শনিবার সন্ধ্যায় মোশারফ হোসেনের লোকজন আসাদ মিয়ার তিনজন সমর্থককে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এরই জের ধরে আসাদ মিয়ার লোকজন সংগঠিত হয়ে রবিবার সকাল ৮টার দিকে মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে মোশারফ হোসেনের লোকজন প্রতিহত করতে এগিয়ে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে উক্ত সংঘর্ষ পিরিজকান্দি, পীরপুর, মধ্যপাড়া ও বাজুইন্যাপাড়া এই চারটি গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষে কয়েক জন নিহত হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পরলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে এলোপাথারী ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া, বাড়ীঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত পুলিশ সংঘর্ষস্থলে প্রবেশে করতেই পারেনি। বেলা ১টার দিকে নরসিংদী থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে গ্রামে প্রবেশ করলে সংঘর্ষকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে বেলা ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
No comments:
Post a Comment
Thank you very much.