বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুধুমাত্র আসন্ন এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি সিরিজই নয়, বরং আগামীর বাংলাদেশ দলের জন্য 'গুরুত্বপূর্ণ' হয়ে উঠতে পারবে এমন খেলোয়াড়দের যাচাই-বাছাইয়েরও সিরিজ।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আলাদা আলাদা পজিশানের জন্য পৃথক পৃথক খেলোয়াড়দের বাছাই করছিলেন টাইগার কোচ হাতুরিসিংহে। আর তাইতো জিম্বাবুয়ে সিরিজেই দলে রাখা হয় ৩ জন নতুন মুখকে। আর ১৫ জানুয়ারি সিরিজের ১ম টি-টোয়েন্টির মধ্যে দিয়েই হয়ে গেল দুই ক্রিকেটারের অভিষেক।
আর তন্মধ্যে ১ম বারের মতো আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঠে পা রাখলেন নুরুল হাসান সোহান।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের একটু দূরে, দৌলতপুরে বাসা নুরুল হাসানের। যে মাঠে খেলে বেড়ে উঠেছেন, সেই মাঠেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো শুক্রবার। নজরও কি কাড়তে পেরেছেন অভিষেক ম্যাচে?
উত্তরটি শতভাগেই হ্যাঁ-বোধক। শুধু মাত্র নজড় নয়, বরং কোচ-অধিনায়কের মনও জয় করে নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সোহানের পারফরম্যান্সে বেজায় খুশি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচেই উইকেটের পিছনে তার পারফরম্যান্স এবং ব্যাট হাতে শুরু দেখে প্রশংসার ফুলঝুরি ঝরিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সোহানের পারফরম্যান্সে বেজায় খুশি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচেই উইকেটের পিছনে তার পারফরম্যান্স এবং ব্যাট হাতে শুরু দেখে প্রশংসার ফুলঝুরি ঝরিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে সোহানের প্রসঙ্গ। মাশরাফি জানান, সোহান তার কাজটি ভালোভাবে করতে পেরেছে। সময় এখন তাকে আরো পরখ করার।
সোহানের ভূমিকা উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, ‘সোহানের কাজ ছিল স্ট্রাইক রোটেট করা, একটি-দুটি চার মারা। সেটা সে পেরেছে। রিল্যাক্সড থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওকে দেখে মনে হয়েছে খুব রিল্যাক্সড ছিল। শুরুটা বেশ ভালো। প্রথম ম্যাচেই বিচার করা কঠিন। তবে এই ধরণের ক্রিকেটারকে পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’
উইকেটের পিছনে থেকে দারুণ একটি থ্রোয়িংয়ে রানআউট করেছেন সোহান। ফিরিয়ে দিয়েছেন ম্যালকম ওয়ালারকে। মূলত, উইকেটরক্ষক হিসেবেই দলে নেওয়া তরুণ এই ক্রিকেটারকে। প্রথম ম্যাচেই তাই বাজিমাত করাতে আনন্দিত মাশরাফি।
বললেন, ‘সোহানের কিপিং তো আউটস্ট্যান্ডিং। মুশিও খুব ভালো। তবে সোহান প্রথম ম্যাচ, ভালো করেছে। কিপিংয়েও দারুণ রিল্যাক্সড ছিল। সামনে এসে কিপিং করেছে। ওর স্ট্রেন্থগুলোয় আপ টু দা মার্ক ছিল।’
মাশরাফি আরো বলেন, ‘সোহান এখনও অনেক তরুণ। কম বয়সে সুযোগ পেয়েছে, এখন অবশ্যই ওই তাড়না আছে মাঠে ছুটোছুটি করার, সবাইকে সক্রিয়া রাখার। এই ব্যাপারগুলি ওর কাছ থেকে আমরা আশা করি। ওকে এজন্যই দলে নেওয়া হয়ছে। ওর যেটা কাজ ছিল সেটা পুরোপুরি করতে পেরেছে। আশা করি এটা ধরে রেখে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরও ভালো কিছু করবে।’
মাশরাফির উচ্ছ্বসিত বক্তব্যগুলিই প্রমাণ করে দেয় নুরুল হাসান সোহান ১টি ম্যাচেই ঠিক কতটা আচড় কেটেছেন তার মনে। আর সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সোহানকে ঘিরে হয়তোবা পরিকল্পনার ছকটাও দ্রুতই কেটে ফেলবেন কোচ হাতুরিসিংহে।
আর তাহলে খুব সম্ভবত এই দৃশ্য আমাদের কাছে অনেকটাই নিয়মিত হয়ে যাবে, যেখানে উইকেটের পেছনে থেকে গলা ফাটিয়ে আওয়াজ দিবেন সোহান,...
'সাকিব ভাই, ১ নাম্বার টা দেন!' 'সৌম্য এইটা ধর, ২ যেন না হয়' !
কে জানে, সোহানের ভেতরেই হয়ত আমরা খুঁজে পেতে যাচ্ছি বাংলার 'অ্যাডাম গিলক্রিস্ট' বা 'এবি ডি ভিলিয়ার্স' !
No comments:
Post a Comment
Thank you very much.