google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html জনপ্রিয়তায় শেখ মুজিব এবং জিয়াউর রহমান - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Wednesday, August 13

জনপ্রিয়তায় শেখ মুজিব এবং জিয়াউর রহমান

আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব-কে দেখি নি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে উনার জনপ্রিয়তা কি রকম ছিলো সেটাও আমি দেখি নি বা দেখলেও তা ঐ বয়সে তেমন মনে থাকার কথা না। পরে বড়-দের মুখে শুনেছি যে, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ মানুষের চোখের মনি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে উনার বন্দী থাকার দিন গুলো-তে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অনেক মা-ই পাকিস্তানী-দের হাতে বঙ্গবন্ধুর নিরাপদ থাকা এবং নিরাপদ ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য নফল রোজা রাখতেন, নফল নামাজ পড়তেন, দান খয়রাত করতেন। এ থেকেই বোঝা যায় যে, স্বাধীনতার আগে শেখ মুজিব কি অসম্ভব রকম জনপ্রিয় ছিলেন বাংলাদেশের সাধারন মানুষের কাছে এবং সাধারন মানুষ উনাকে কি পরিমান ভালোবাসতো।

জিয়াউর রহমানের ছবি প্রথম দেখেছিলাম আমাদের আর্মী-দের প্রকাশিত একটা ম্যাগাজিনে; সাদা কালো ছবির ম্যগাজিনের নাম-টা এখনো মনে আছেঃ গাঢ় সবুজ রং-এর শক্ত মলাটের উপর টকটকে লাল কালিতে লেখা ’হও আগুয়ান’। সাদা-কালো প্রিন্টের সেই ম্যাগাজিনে মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার-দের বড় করে ছবি (এক পৃষ্ঠায় চার জন-এর ছবি) এবং নাম ছিলো। মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর মঞ্জুর, মেজর রফিকুল ইসলাম- এই রকম ছবি এবং নামের পাশেই ছিলো মেজর জিয়াউর রহমানের ছবি এবং নাম- কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছাড়াই। আমার সেই হাফ প্যান্ট পরা বয়সে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আমি তিন-টা সাধারন বিষয় প্রত্যক্ষ করেছি যা স্পষ্ট ভাবে আজও আমার মনে আছেঃ ১. বঙ্গবন্ধু-কে হত্যা করার পর সর্ব সাধারনের সতঃস্ফূর্ত উল্লাস।  

২. সর্ব সাধারনের মাঝে জিয়াউর রহমানের অসম্ভব জনপ্রিয়তা। এবং ৩. জিয়াউর রহমানের শবযাত্রায় অভূতঃপূর্ব মানুষের ঢল। যে বয়সে আমি বিষয় গুলো প্রত্যক্ষ করেছি, সেই বয়সে রাজনীতি বোঝা-তো দূরের কথা, বাসায় খাবার-দাবার যে কোথা থেকে আসে- সেটাও চিন্তা করার কথা না। বঙ্গবন্ধু-কে সপরিবারে হত্যা করার পর আমি আমার ঐ বয়সে শুধু একজন মানুষ-কেই দুঃখিত হতে এবং চোখের পানি ফেলতে দেখেছি- তিনি হচ্ছেন আমার মা। তবে সেই কান্না-টা রাজনৈতিক কান্না ছিলো না, উনি কেঁদেছেন মানবিক কারনে, শুধু এই কথা বলে- ”একটা মানুষ-কে এই ভাবে গুষ্ঠি শুদ্ধ কি ভাবে মেরে ফেললো!” আমাদের বাসায় টাংগানো বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোট পরা সেই সাদা-কালো বিখ্যাত ছবিটার (যা এখনো আছে) সামনে গিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে দেখেছি আমার মা-কে। সামান্য একটু বড় হওয়ার পর (টিন এজ) আমার মনের এই সব স্মৃতি এবং বড়-দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো গুলো আমাকে বেশ গোলক-ধাঁধায় ফেলেছে এবং দুই-টা প্রশ্ন আমাকে বার বার তাড়া করছিলোঃ ১. এতো অসীম জনপ্রিয় একজন মানুষ (বঙ্গবন্ধু) কি কারনে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র চার বছরের মাথায় জনগনের কাছে এতো অজনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন যে, সাধারন মানুষ উনার সপরিবারে নিহত হওয়ার খবর শুনে রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছে! কি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু এই চার বছর যা দেশের সাধারন মানুষ-কে উনার সম্পর্কে এতো-টা বিপরীতমুখী অবস্থানে নিয়ে গেছে! ২. কি কারনে এবং কি ভাবে একজন সাধারন মেজর (কিছুটা পরিচিত কালুরঘাট বেতার থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার জন্য) মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যে দেশের মানুষের কাছে এতো অভাবনীয় রকম জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন! প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর কেনো লক্ষ লক্ষ মানুষ উনার শবযাত্রায় এসেছিলেন? এই দুই টা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই আমাকে এই ব্যপারে পড়াশোনা করতে হয়েছে অনেক, স্মৃতি-কথা শুনতে হয়েছে অনেক মানুষের মুখ থেকে এবং শেষ পর্যন্ত এটুকু বুঝেছি যে, জনগন, ক্ষমতা, দেশপ্রেম, সততা এবং প্রাজ্ঞতা-র সংমিশ্রনে দেশ শাসন করতে পারলে খুব অল্প সময়ে একজন সাধারন মানুষও সফল এবং জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক হতে পারেন। 

আর এই গুলোর অভাব থাকলে এমন কি অত্যন্ত অভিজ্ঞ, জনপ্রিয় এবং বড় মাপের রাজনৈতিক নেতা-ও খুব দ্রুত ব্যর্থতার পঙ্কিল গহ্বরে নিজেকে এবং দেশ-কে নিয়ে যেতে পারেন; এমন কি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই সেই রাষ্ট্রনায়কের জনপ্রিয়তার মাপ-কাঁটা আকাশ থেকে শুধু মাটিতে না- একেবারে মাটির গভীরে চলে যেতে পারে। আজ আমরা শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান-কে নিয়ে অনেক কথা বলি। একজন-কে দেশপ্রেমিক বলে আরেক জন-কে দেশদ্রোহী বলে গলা ফাটাই। কিন্তু দেশের সাধারন মানুষের চেতনার সাথে এই সব হাইপোথিটিক্যাল তর্ক-বিতর্কের তেমন কোন যোগাযোগই নেই। সাধারন মানুষ হচ্ছে সাধারন, তাই তাদের স্মৃতি-তে শেখ মুজিব এবং জিয়াউর রহমানের সময়ের যে সব ঘটনা প্রবাহ মনে আছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে যে সব ছবি এবং তথ্য স্বাক্ষী হয়ে থেকে যাবে, সেগুলোর উপরই আগামী প্রজন্ম এবং ইতিহাসের কাছে মূল্যায়িত হবেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান। আইন করে সব যায়গায় ছবি টাঙ্গিয়ে, পয়সায় ছবি খোদাই করে বা নাম ফলক মুছে ফেলেই যদি ইতিহাসে কাউকে প্রতিষ্ঠিত বা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যেতো- তাহলে মানব সভ্যতার ইতিহাসে ’ইতিহাস’ বলে কিছু থাকতো না। এই রকম ব্যর্থ চেষ্টা ইতিহাসে আরো অনেকেই করেছেন কিন্তু কোন লাভ হয় নি; ইতিহাস চলেছে ইতিহাসের নিজের গতি-তে। কাজেই, মান্না দে’র সেই বিখ্যাত গান-এর কথায় বলতে হয়- ’যদি কাগজে লিখ নাম- কাগজ ছিঁড়ে যাবে পাথরে লিখ নাম- পাথর ক্ষয়ে যাবে হৃদয়ে লিখ নাম- সে নাম রয়ে যাবে।’ মুজিব এবং জিয়া তাঁদের নাম দেশের মানুষের মনে যে ভাবে লিখে গেছেন, তাঁরা সেভাবেই মূল্যায়িত হবেন যুগের পর যুগ এবং হয়তো শতাব্দির পর শতাব্দি; বাকি সব ক্ষয়ে যাবে, ছিঁড়ে যাবে, ঝরে যাবে, মুছে যাবে।

 

উৎসঃ আমাদের কথা 




 আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী

(●।●► গত শনিবার রাত সাড়ে এগারটায় ঢাকার কমলাপুর স্পেশাল পুলিশের সাথে এক সশস্ত্র সংঘর্ষ প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবরের জেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, তার ৫ জন সাঙ্গপাঙ্গ ও একজন পুলিশ সার্জেন্ট গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শেখ কামাল ও তার ৫ জন সঙ্গীদের ঢাকা মেডি্ক্যাল কলেজের ৯,১০ ও ৩৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সার্জেন্ট জনাব শামীম কিবরিয়াকে ভর্তি করা হয়েছে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে।(গণকন্ঠ ১৯-১২-১৯৭৩)

জি হা, আমাদের জাতির জনকের তনয় ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে তার সঙ্গিদের স্বাথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মেডি্ক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু মজার ব্যপার হয় ১৯৭১ এ যুদ্ধে, সমগু দেশের মানুষ যখন আহত, নিহত (শহীদ), নির্যাতিত, ধর্ষিত হচ্ছিলেন তখন জাতি জনক বঙ্গ বন্ধুর পরিবার (ছেলে, মেয়ে বা অন্যান্ন) তো দূরের কথা তখন আওয়ামী নেতা কর্মীদের যুদ্ধের ময়দানে তাদের ভুমিকা খুজতে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করলেও তার আলামত মিলবেকিনা সন্ধেহ জনক। কিন্তু আজ তাদের মুখেই স্বাধীনতার বুলি বা তাদের জন্যই স্বাধীনতা বা অ-ঘোষিত দেশের মালিক তো তারাই।

►আজকে যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করেন, তারা যুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতায় য়ে কুকীর্তি করেছেন তা ফাঁস করে দেয়ার কথা বলার পরই জহির রায়হান নিখোঁজ হন।
►১৯৭১ সালে চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, নিহত বুদ্ধিজীবিগন ছিলেন চীন পন্থি এবং পাকিস্তান সরকারের অনুগত। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তাদেরকে ভারত পন্থী ব্যতিত আর কারা হত্যা করতে পারে?

►সর্ব পরিসরে বার বার আমার মনে একটিই প্রশ্ন উকি দিচ্ছে...
তবে কি আওয়ামীলীগ “স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী” ?
মেনে নিলাম আওয়ামীলীগ “যুদ্ধাপরাধী” নয়!
তবে কেন আওয়ামীলীগই “স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের” শেষ আশ্রয়স্থল..??? যদি তা না ই হয়, তাহলে কেনইবা আওয়ামীলীগ এই রাজাকারদের দিয়ে তাদের সংগঠন পরিচালনা করছে...?

►►► আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের কিছু তালিকা:
------------------------------------------------------------------
●।●►শেখ সেলিম তথা শেখ হাসিনার বেয়াই কুখ্যাত রাজাকার মুসা বিন শমসের ওরফে নুলা মুসা ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকারের কথা না হয় বাদই দিলাম।

►► নেত্রকোণার আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ সংগঠনকারীবৃন্দ-

১. নেত্রকোণা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম খান,
২. বায়লাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ডাঃ গিয়াসউদ্দীন আহমদ।
৩. নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব সোহরাব হোসেন ও
৪. নেত্রকোনা মহকুমা আওয়ামীলীগের সদস্য সদস্য জনাব এমদাদুল হক
৫. নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম (এ্যাডভোকেট)
●।●► তথ্যসূত্র: দৈনিক আজাদ,তাং- ১০-৯-১৯৭১ ,পৃঃ ৫-ক-৬, প্রকাশ ঢাকা ।
●।●► তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ৪-৮-১৯৭১ , পৃঃ ৫-ক-৩, প্রকাশ-ঢাকা।

এই সূত্রে পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তায় তাদের সম্পৃক্ততার ঘটনাটিকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে-
নেত্রকোণার আওয়ামী লীগের চারজন সদস্য সমপ্রতি সংবাদ পত্রে প্রদত্ত বিবৃতিতে দলের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তাহারা বিবৃতিতে বলেন যে, তাহারা আওয়ামী লীগের পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। ভারতের ন্যাক্কারজনক আক্রমণাত্মক তৎপরতা এবং ভারত কর্তৃক সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ ও নাশকতামূলক কার্য সাধণের জন্য ভারতের প্রতি তীব্র নিন্দা করিয়া তাহারা পাকিস্তানের ঐক্যও সংহতি রক্ষাকল্পে সময়োচিত হসক্ষেপের জন্য প্রেসিডেন্টও সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদান কারীগণ হইলেনঃ নেত্রকোণা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরূল ইসলাম খান, বায়লাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ডাঃ গিয়াসউদ্দীন আহমদ। নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব সোহরাব হোসেন ও নেত্রকোনা মহকুমা আওয়ামীলীগের সদস্য জনাব এমদাদুল হক।'

►► চাঁদপুর জেলার আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনকারীবৃন্দ-

৬. চাঁদপুর আওয়ামী লীগের জনাব চান্দ বখশ পাটওয়ারী মোক্তার,
৭. মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী,
৮. জনাব নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী মোক্তার,
৯. মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী জনাব ফজলুল হক এডভোকেট
১০. মহকুমা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য জনাব খুরশীদ আলম চৌধুরী,
১১. মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ জনাব বজলুর রহমান শেখ,
১২. আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও তরপারচান্দি ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মৃধা,
১৩. আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জনাব আজিজ শেখ পাটওয়ারী,
১৪. কণ্ট্রাক্টর ও আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জনাব মোফাজ্জল হোসেন,
১৫. আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ডাঃ নুরুল ইসলাম ও
১৬. ফরিদগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী।
●।●► তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ ,তাং- ৯-৯-১৯৭১ ,পৃঃ ১-ক-২-৩, প্রকাশ ঢাকা।

পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তায় তাদের সম্পৃক্ততার ঘটনাটিকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে-
অধুনালুপ্ত আওয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট ওয়াদা করিয়া পাকিস্তানের ঐক্য, সংহতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করিয়া যাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। ভারতীয় চর ও রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ও তাহারা তাহাদের দৃঢ় সংকল্পের কথা প্রকাশ করেন। সে সকল ব্যক্তি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছেন।

তাহারা হইলেন, চাঁদপুর আওয়ামী লীগের জনাব চান্দ বখশ পাটওয়ারী মোক্তার, মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, জনাব নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী মোক্তার, মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী জনাব ফজলুল হক এডভোকেট, মহকুমা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য জনাব খুরশীদ আলম চৌধুরী, মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ জনাব বজলুর রহমান শেখ, আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও তরপারচান্দি ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মৃধা, আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জনাব আজিজ শেখ পাটওয়ারী, কণ্ট্রাক্টর ও আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জনাব মোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ডাঃ নুরুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী।

১৭. কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব আমজাদ হোসেন
১৮. টাঙ্গাইলের সাবেক এম.পি.এ জনাব খোদা বখশ মোখতার
●।●► তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ২১-৫-১৯৭১, পৃঃ ৪-ক-৬, প্রকাশ-ঢাকা।

তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে:
'আওয়ামী লীগের ২ জন সদস্য পৃথক পৃথক বিবৃতিতে দল হইতে তাহাদের সম্পর্কচ্ছেদ করিয়া বিচ্ছিন্নতার হাত হইতে দেশকে রক্ষাকল্পে সরকারের সহিত পূর্ণ সহযোগিতা দানের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাইয়াছেন। উক্ত ২ জন সদস্য হইতেছেন অধুনালুপ্ত কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব আমজাদ হোসেন, টাঙ্গাইলের সাবেক এম.পি.এ জনাব খোদা বখশ মোখতার।'

১৯. জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
●।●► তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ৩-৭-১৯৭১, পৃঃ ৬-ক-৬, প্রকাশ-ঢাকা,

তার জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে:
চট্টগ্রামের পি.ই.২৪ নির্বাচনী এলাকা হইতে নবনির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহিত সকল সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া পাকিস্তানকে সমর্থন করিয়া একটি বিবৃতি প্রদান করিয়াছেন।
তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হই। একজন পাকিস্তানী নাগরিক হিসাবে এবং সরল বিশ্বাসে আমি এই আশায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়াছিলাম। আমি আমার ক্ষুদ্র ক্ষমতা অনুসারে দেশ ও জনগণের খেদমত করিব। পাকিস্তানকে খণ্ড বিখণ্ড করার জন্য জনগণ আমাকে ভোট দেয় নাই।
তিনি বলেন , আওয়ামীলীগের এই সব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিতাম না এবং ২৫ মার্চের পূর্বে এবং পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের গোলযোগের অবস্থায় আমি কোন সমাজবিরোধী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করি নাই। যথাসময়ে হস্তক্ষেপের জন্য এবং ধ্বংস ও ষড়যন্ত্র হইতে দেশকে রক্ষা করার জন্য আমি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ ও বীর সেনাবাহিনীকে আন্তরিক মোবারক জানাইতেছি।'

২০. পটুয়াখালি হইতে নবনির্বাচিত এম.পি.এ জনাব মুজিবুর রহমান তালুকদার
●।●► তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ৬-৭-১৯৭১, পৃঃ ৪-ক-৫, প্রকাশ-ঢাকা।

তার জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে:
পটুয়াখালি হইতে নবনির্বাচিত এম.পি.এ জনাব মুজিবুর রহমান তালুকদার বেআইনী ঘোষিত আওয়ামীলীগের সহিত সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া বিবৃতি প্রদান করেন যে, পাকিস্তানকে খণ্ড-বিখণ্ড করার জন্য আওয়ামীলীগের মতলব সম্পর্কে তাহার কোন ধারণা ছিল না। জনাব রহমান পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতির প্রতি তাহার আস্থা পুনর্ঘোষনা করেন এবং পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সংহতি বজায় রাখিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সময়োচিত ব্যবহার প্রতি জোর সমর্থন দান করেন।

২১. খুলনা হতে নব নির্বাচিত এম পি এ মীরজাফর মোহাম্মদ সাঈদ
●।●► তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, ১০-৫-৭১, প্রকাশ ঢাকা, পৃষ্ঠা-১, কলামঃ ৫ ঢা.বি. কে.লাই)

তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে:
বেঅইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের একজন এমপিএ মীরজাফর মোহাম্মদ সাঈদ গত শুক্রবার স্থানীয় সামরিক বাহিনীর নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন।'
খুলনা হতে নব নির্বাচিত এম পি এ জনাব সাঈদ প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গৃহীত সময়োচিত ব্যবহার প্রতি সমর্থন দান করেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রু তাপূর্ণ মনোভাব পোষণের জন্য ভারতের নিন্দা করেন এবং পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ভারতকে সতর্ক করেছেন।'

২২. হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সহ ৮ জন
●।●► সূত্র: ২০১০ সালের ৪ মার্চ তারিখে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম-এর আদালতে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্র।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলীসহ ৮ জন একই দিনে ১২৭ জনকে হত্যাসহ বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ ও নির্যাতন করে। লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের হরিদাস রায় বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। বাদী হরিদাস রায় এজাহারে উলেখ করেন, নাসিরনগর ও লাখাই থানার কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার ছিলেন লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী। তার পিতা খেলু মিয়া ১৯৬৭ সালে লাখাই উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি ডাকাতির ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত হন। ওই মামলা আপসের নিষ্পত্তির জন্য খেলু কৃষ্ণপুর, গদাইনগর ও চণ্ডীপুর গ্রামের লোকজনের নিকট ধরনা দেন। কিন্তু এতে কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে ওই গ্রামের লোকজনের প্রতি খেলু ও তার পুত্র লিয়াকত ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে মরিযয়া হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরূ হলে খেলু জেল থেকে বেরিয়ে আসে। এদিকে খেলুর পুত্র লিয়াকতের নেতৃত্বে নাসিরনগর ও লাখাই থানার রাজাকাররা মুক্তিকামীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ, নির্যাতন চালায়। ১৯৭১ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর লাখাই থানার কৃষ্ণপুর, গদাইনগর ও চণ্ডীপুর গ্রামের গণহত্যার জন্য লিয়াকত আলীসহ অভিযুক্তরা অষ্টগ্রাম ক্যাম্পের পাক সেনাদের নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত নিরীহ লোকজনকে কৃষ্ণপুর গ্রামের ননীগোপাল রায়ের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা, গদাইনগর গ্রামের চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়ির উঠানে এবং চণ্ডীপুর গ্রামে জড়ো করে। পরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে ৩টি স্থানে ১২৭ জনকে হত্যা করা হয়। বাদী হরিদাস রায় উল্লেখ করেন, কৃষ্ণপুর গ্রামের যে স্থানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় সেখানে অন্যদের সঙ্গে তাকেও লাইনে দাঁড় করানো হয়। তিনি অত থাকলেও গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যাওয়ার ভান করেন। পরে রাজাকার ও পাক সেনারা বাড়িঘরে লুটপাট করে লাখ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চলে যায়। উল্লিখিত ৩টি স্থানে কালী দাস রায়, ডা. ননী রায়, রাধিকা মোহন রায়, গোপী মোহন সূত্রধর, সুনীল শর্মা, মুকুন্দ সূত্রধর, যোগেন্দ্র সূত্রধর, মহেন্দ্র রায়, অনিল মাঝি, চন্দ্র কুমার রায়, জয় কুমার রায় শান্ত রায়, কিশোর রায়সহ ১২৭ জনকে হত্যা করা হয়। বাদী এজাহারে নিহত ৪৫ জনের নাম উলেখ করেছেন।

●।●►আজকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম.খা. আলমগীর মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের জেলা প্রশাসক ছিলেন। ম.খা. আলমগীর পাকিস্তান রক্ষায় শেষ দিন পর্যন্ত যারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তাদের একজন! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রী বানিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)

●।●►মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের আস্থা অর্জনকারী ৮৮ এম.এন.এ’র তালিকায় সাজেদা চৌধুরীর নাম ৮৪ নাম্বারে।

●।●►শাহরিয়ার কবীর রাজাকার ছিলো! এখন সে সরকারের তোষামোদ করায় দেশপ্রেমিক! আর আমাকে মন্ত্রীরা বলে রাজাকার!
-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)

►►►বিচিত্র পৃথিবী! তারচেয়ে বিচিত্র পিতৃ প্রেম:
--------------------------------------------
●।●►বঙ্গবন্ধুর চামরা দিয়ে ডুগডুগি বানাতে চেয়েছিলেন আজকের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী
-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)

●।●►বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ট্যাংকের উপর উঠে উল্লাস করেছিলেন আজকের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু । আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভার তথ্যমন্ত্রী। যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিচিত্র পৃথিবী! তারচেয়ে বিচিত্র পিতৃ প্রেম!
-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)

►►►পরিসরে:
---------------
একাত্তরের মানবতারোধী অপরাধের অভিযোগে আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে ফাসির রায়ে আজ আমরা মহা খুসি। আমরা সকলেই স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, কিন্তু অপরাধী যদি হয় আমার ঘরের....
তাহলে হাসিনার মত বলতে হবে আমার বেয়াই রাজারা হলেও যুদ্ধাপরাধী নয়। বা হতে হবে নাইমের মত.....

►নাইম নিজের বাবার প্রসংসায় পঞ্চমুখ, প্রায়ই উল্লেখ করে তার বাবা পকিস্তান আমলে সংসদ সদস্য ছিলেন। এনিয়ে গৌরবের তিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। কারন তার এই বাবাই কুমিল্লার দেবিদ্বারে মুসলীম লীগের নেতা ছিলেন, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় কেবল রাজাকারই নয়, শান্তি কমিটির বড় নেতা ছিলেন। নাইম কখনও তার বাবার অতীতের ভূমিকা নিয়ে গলানিতে ভোগেন না। একবারও বলে না যে তার বাবা ভুল করেছিলেন।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: এ আর মুকুল
মোহাম্মদপুর , ঢাকা  ।
ফোনঃ ১১৪৭৭১০৯১, ফ্যাক্সঃ ১১৪৭৭৮৬১৫, ই-মেইলঃ alfaqihi.group@yahoo.com


এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।


 

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.