google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html জ্বালানিবিহীন গাড়িটির অনুমতি নেই অথচ অর্ডার অাট লাখ ! - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Tuesday, October 14

জ্বালানিবিহীন গাড়িটির অনুমতি নেই অথচ অর্ডার অাট লাখ !

উদ্ভাবনের আট বছর পরও রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এ তৈরি জ্বালানিবিহীন গাড়িটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমতি পায়নি প্রকৌশলী আমির হোসেন। চার চাকার এই গাড়িটি ২৫ টাকার কার্বনদণ্ডে চলবে আট ঘণ্টা। এ গাড়িতে ডিজেল, পেট্রোল বা অন্যকোনও জ্বালানির ইঞ্জিন অয়েল প্রয়োজন নেই। ঘণ্টায় চলবে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে।




জ্বালানি হিসেবে যেই কার্বনদণ্ড ব্যবহৃত হবে সরকারের অনুমতি পেলে তা পাওয়া যাবে দেশের যেকোনও মটরপার্সের দোকানে। ২০০ কেজি ওজনের এ গাড়ি পাকা ও কাঁচারাস্তায় অন্য গাড়ির মতোই চলবে স্বাভাবিক।  

শব্দবিহীন এবং পরিবেশবান্ধব এই গাড়িটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য ২০০৭ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও কোনও জবাব মেলেনি। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে তিনি আরেক দফা আবেদন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে। সেখান থেকেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।  



প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, প্রায় দেড় বছর গবেষণা চালিয়ে তৈরি করা এই গাড়িটি ২০০৬ সালে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রথম প্রদর্শন করা হয়। তখন গাড়িটি দেশি-বিদেশি দর্শকদের বেশ আকর্ষণ করে। এরপর ২০০৮ সালে ঢাকায় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পাঁচদিনের আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মেলায় আমির হোসেনের কাছে এ গাড়ি কেনার প্রস্তাব দেয় প্রায় ৪০০ ক্রেতা। কিন্তু সরকারের অনুমতি না থাকায় তাদের কাছেও গাড়ি বিক্রি করতে পারেনি আমির হোসেন।



আমির হোসেন জানান, গত আট বছরে সামাজিক গণমাধ্যমে এ গাড়ি কেনার জন্য প্রায় আট লক্ষাধিক ক্রেতা যোগাযোগ করেছে কিন্তু অনুমতি না থাকায় কোনও প্রস্তাবই গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ভারতের টিভিএস, জার্মান, কোরিয়া, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি যৌথভাবে জ্বালানিবিহীন এ গাড়ি তৈরি এবং বাজারজাত করতে প্রস্তাব করেছে কিন্তু দেশের কথা বিবেচনা করে সে প্রস্তাবেও সাড়া দেইনি ।



খুব সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি এই গাড়ি বর্তমান নকশা অনুযায়ী আটজন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। তিনি দাবি করেছেন, এ নকশার উন্নতি করতে পারলে যাত্রীবাহী বাসেও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব। তবে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি কতটা কার্যকর হবে তা গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে।



আমির হোসেন জানান, গাড়িটির সব যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি করা সম্ভব। মানভেদে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা দামের এ গাড়িটির আয়ুষ্কাল প্রায় এক যুগ।

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.