google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html ফেসবুক থেকে মুক্তির উপায় কী ? - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Friday, October 24

ফেসবুক থেকে মুক্তির উপায় কী ?

ফেসবুক ছাড়ব ছাড়ব করেও ছাড়তে পারছেন না? ফেসবুক-আসক্তি যদি আপনাকে পেয়ে বসে, তবে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ একটি উপায় রয়েছে। ফেসবুকের পরিবর্তে ইনস্টাগ্রাম কিংবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে কেন বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছেন না? গবেষকদের এই প্রশ্নের ভেতরেই রয়েছে ফেসবুক-মুক্তির সমাধান। হাফিংটন পোস্টের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।




সম্প্রতি চীনের গবেষকেরা ফেসবুক থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, যাঁরা পরপর তিন দিন ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে রাখেন তাঁদের ফেসবুকে ফিরে আসার প্রবণতা কমতে থাকে। অনলাইন বন্ধুত্বের বা প্রয়োজনে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁরা এ সময় চাহিদা পূরণ করে নিতে পারেন।
ফেসবুক ব্যবহার না করলে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা দেখতে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের ১৬৭ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দুটি দলে ভাগ করে তাঁদের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা হয়। একটি দল যাঁরা তিন দিন ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ রেখে অন্যান্য সাইট ব্যবহার করেননি, তাঁদের ফেসবুকে ফেরার তাড়া বেশি লক্ষ করা যায়। কিন্তু যাঁরা এ সময় যোগাযোগের জন্য ফেসবুক বাদে অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করেছেন, তাঁদের ফেসবুকে ফেরার আগ্রহ কম দেখা গেছে।

ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে এর আগেও অনেক গবেষণা হয়েছে। আগের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকে শুধু অন্যের পোস্ট নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকার চেয়ে সরাসরি যোগাযোগ মানুষকে বেশি সুখী করে। তাই যোগাযোগের বিষয়টি অন্যান্য সাইট ব্যবহার করেও যেহেতু পূরণ করা যায় তাই গবেষণায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি দল তিন দিনের মাথায় ফেসবুক ব্যবহারের আগ্রহ হারিয়েছে।
ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করতে গিয়ে অনলাইন থেকেই দূরে সরে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁদের যদি ইন্টারনেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়, তবে তাঁদের মেজাজের ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
মানুষকে তাদের প্রিয় বস্তু থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে তাদের আচরণগত যে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে, এ গবেষণায় সেটাই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.