google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html সাকিব-শচীন একসঙ্গে ! - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Friday, October 17

সাকিব-শচীন একসঙ্গে !

সাকিব আল হাসান বেশি জনপ্রিয়, নাকি শচীন টেন্ডুলকার? সাকিব আল হাসানের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলায় বেশি আনন্দ, নাকি শচীন টেন্ডুলকারের পাশে? সাকিব আল হাসানকে দেখে বেশি রোমাঞ্চ, নাকি শচীন টেন্ডুলকারকে দেখে?
তুলনাগুলোয় অবাক হতে পারেন কেউ কেউ।




সাকিব যে বাংলাদেশের অনেক বড় তারকা, তাতে সন্দেহ নেই। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো তাঁর শিডিউল পেতে রীতিমতো হিমশিম খায়, এটাও ঠিক। তাই বলে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা! টেস্ট-ওয়ানডে মিলে যার ৩৪ হাজারের ওপরে রান আর ১০০টা সেঞ্চুরি, তাঁর সঙ্গে কারও তুলনার আগে আরেকটু ভাবা উচিত নিশ্চয়ই। কিন্তু বাস্তবতাই যদি এ রকম হয় যে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কখনো কখনো টেন্ডুলকারকেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন সাকিব, তুলনা তো হবেই।   
রূপগঞ্জে টেন্ডুলকার গেলেও সাকিব যাননি। অথচ টেন্ডুলকারকে সশরীরে দেখার আগ পর্যন্ত স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সাকিব আসছেন শুনেই বেশি রোমাঞ্চিত ছিল। টেন্ডুলকার আসছেন জেনেও তাদের অপেক্ষা ছিল সাকিবকে একনজর দেখার জন্য। সোনারগাঁও হোটেলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানেও একই অবস্থা। টেন্ডুলকারকে কাছে পেয়েও সাকিবের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি না তোলা পর্যন্ত মন ভরছিল না কারও।
কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে টেন্ডুলকারের পাশে সেদিন আসলে কেমন লাগছিল সাকিবকে? টেন্ডুলকারের পাশে সাকিবের ঔজ্জ্বল্যও তো কম ছিল না। সপ্রতিভ হাসি সারাক্ষণই লেগে ছিল দুজনের মুখে। দুজন দুই প্রতিবেশী দেশের সবচেয়ে বড় দুই তারকা। ভারতীয়দের কাছে টেন্ডুলকার ক্রিকেট ‘ঈশ্বর’ তো বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাকিবই টেন্ডুলকার। ক্রিকেট মাঠে জয়পিপাসু ভক্ত-সমর্থকদের যত আরাধনা তাঁর কাছেই।
ঢাকায় ঝটিকা সফরের দিন দুবার সাকিবের পাশাপাশি হয়েছিলেন টেন্ডুলকার। একবার তো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে, তার আগে মধ্যাহ্নভোজের সময়ও। সাকিব ছাড়াও সোনারগাঁও হোটেলে এদিন টেন্ডুলকারের মধ্যাহ্নভোজে সঙ্গী ছিলেন আরও দু-একজন। তবে খাবারের টেবিলে তাঁর আলোচনাটা জমে উঠেছিল সাকিবের সঙ্গেই।
ঘণ্টা খানেকের সেই আলোচনার বিষয়টা কী হতে পারে, ভাবুন তো একবার। ভাবুন, কিন্তু আপনার ভাবনাটা ঠিক হলো কি না, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ, তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা শুধু সাকিব আর টেন্ডুলকারই জানেন। টেন্ডুলকার তো এখন বাংলাদেশ ছেড়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন, আর সাকিবের পেটে বোমা মেরেও বের করা গেল না কিছু। টেন্ডুলকারের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছুই বলবেন না তিনি। বলবেনই বা কেন? মহাতারকার সঙ্গে কথোপকথনটা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত। বাইরের মানুষকে সেটা জানতে দেবেন কেন সাকিব! তবে তাঁদের আশপাশে থাকা অন্যরা যেটুকু শুনেছেন, সেটা ঠিক হলে সাকিব-টেন্ডুলকারের আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল ক্রিকেটের সীমানার মধ্যেই।
দুজনকে আবার একসঙ্গে দেখা গেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে। টেন্ডুলকারের বক্তব্যে সাকিবের কথা এল। মঞ্চেও দুজন পাশাপাশি দাঁড়ালেন। সাকিবের হাতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে শুভেচ্ছা জানানো টি-শার্ট তুলে দিলেন টেন্ডুলকার। টি-শার্ট হাতে তাঁদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ হলো ক্যামেরাবন্দী। সেই ছবির ক্যাপশন অনেকভাবেই লেখা যায়। তবে সবচেয়ে উপযুক্ত বোধ হয় এটাই—বিশ্ব ক্রিকেটের ব্র্যান্ডের পাশে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.