বাইরে খাওয়া, আড্ডা আর ঘোরাফেরা সবখানেই সেলফি তোলা চাই। নিজেদের কাটানো সুন্দর সময়টার সেলফি তুলে দেখানো চাই ফেসবুক বা টুইটারে। কিন্তু অনেক সময়ই দলবলে সেলফি তোলায় বাদ সাধে দূরত্ব। নিজেদের হাত দিয়ে মুঠোফোনের ক্যামেরা আর কতটা দূরেই নেওয়া যায়। হাত যতটুকু যাচ্ছে, তাতে ঠিকঠাক সবাইকে এক ফ্রেমে আনাও এক যুদ্ধ। এরপর দেখা যায় হয়তো কারও হাত নেই, কারও বা মুখের একাংশ বাদ পড়েছে।
এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলছে। এখনকার সেলফিপ্রেমী তরুণদের হাতে দেখা যাচ্ছে বিশেষ একটা চকচকে লাঠি। যে লাঠি দিয়ে সহজেই সেলফি তোলা যাচ্ছে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। ‘সেলফি স্টিক’ নামের এই অনুষঙ্গটি এরই মধ্যে জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
এবার ঈদের আগেই শখ করে একটা সেলফি স্টিক কিনেছিলেন ঢাকার তরুণ প্রমি নাহিদ। ঈদের সময় বিস্তর ঘোরাফেরা আর বাইরে খাওয়ার সেলফি সহজে তুলতেই এই স্টিক কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু এর কার্যকারিতা দেখে সেটা এক বন্ধু বাগিয়ে নিয়েছে তাঁর কাছ থেকে। প্রমি বলেন, ‘এখন বন্ধুদের নিয়ে সেলফি তুলতেই ভালোলাগে। সেলফি স্টিক থাকলে সবার ছবিই ঠিকমতো তোলা যায়।’
স্টিকের সাহায্যে কীভাবে সেলফি তোলা হয় জানতে চাইলে আরেক ব্যবহারকারী সৈয়দা মোহসিনা বলেন, ‘স্টিকের মাথায় মুঠোফোন বসানোর ব্যবস্থা আছে। সেখানে মুঠোফোন বসানোর পর মুঠোফোনের তারহীন ব্লুটুথ চালু করতে হয়। এরপর লাঠিতে থাকা ব্লুটুথ চালু করে দুটির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর এর গোড়ায় থাকা বোতামে চাপ দিলে ছবি উঠতে থাকবে। প্রয়োজনমতো স্টিকের দৈর্ঘ্য বাড়ানো-কমানোর সুবিধা আছে।’
ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিভিন্ন বাজার ও অনলাইন কেনাকাটার শপে সেলফি স্টিক কিনতে পাওয়া যায়। সেলফি স্টিক দিয়ে ছবি তুলতে পছন্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া রোহান, সুমন, রাজীবদের দলটাও। রোহান বলেন, ‘মুঠোফোন কেনার আগে পেছনের ক্যামেরার চেয়েও সামনের ক্যামেরার দিকে নজর দিচ্ছি বেশি। তাছাড়া, সেলফি তোলার প্রবণতা বাড়ার কারণেই আজকাল অনেক মুঠোফোনের সামনে বিশেষ ধরনের “মুভিং ক্যামেরা” বা বেশি রেজ্যুলেশনের ক্যামেরা যুক্ত হচ্ছে। তবে রেজ্যুলেশন যতই ভালো হোক, ভালো সেলফি তুলতে হলে স্টিকের বিকল্প নেই। বন্ধুরা মিলে তাই একটা স্টিক কিনে ফেলেছি। এখন তো সব সময়ই এটা আমাদের সঙ্গে থাকে।’
দলেবলে ছবি তুলতে হাতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে তাই আপনিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন সেলফি স্টিক।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.