১) কলার খোসাঃ কলার খোসায় পা দিয়ে পিছলে পড়া ছাড়া আর কোন কিছু কি জানেন এর সম্মন্ধে? জেনে নিন, কলার খোশায় যে মিনারেল থাকে তা উজ্জ্বল ক্রবে আপনার দাঁতকে। তাই এরপর থেকে কলা খেয়ে খোসা না ফেলে রেখে দিন। কলার খোসা দিনে দুবার ১-২মিনিট দাঁতে ঘসলে আপনার তাঁত ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
২) স্টবেরীঃ এই ফলটি খেতে অনেকেই ভালবাসে আবার অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু এই ফলটি আপনার দাঁতের জন্য খুব উপযোগী। স্ট্রবেরী খেলে আপনার দাঁতের হলুদ দাগ কমে গিয়ে দাঁত সাদা হবে। ১-২টি ছোট স্ট্রবেরী পিষে মিশ্রন করে সেটি ২-৩মিনিট দাঁতে লাগিয়ে রেখে তারপর মুখ ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ব্রাশ করে নিন। স্ট্রবেরীর ম্যালিক অ্যাসিড আপনার দাঁতকে সাদা করে তুলতে সাহায্য করবে।
৩) গাঁজরঃ শীতকালের খুব চেনা এই সবজিটা, বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারে ব্যবহার করা হয় গাঁজর। এই চেনা সবজিটা আপনার দাঁতকে পরিষ্কার করতে ভীষণ সাহায্য করবে। গাঁজর ভাল করে ধুয়ে নিয়ে তা খেলে আপনার দাঁত ভাল থাকবে এবং কাঁচা গাজর দাঁতে ঘসুন। এটি করলে ব্যাকটেরিয়া থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকবে আপনার বত্রিশ পাটি এবং তার সঙ্গে পরিষ্কারও হবে।
৪) সিগারেট খাওয়া বন্ধঃ সিগারেট খাওয়াটি যে কখনই খুব একটা লাভ দায়ক নয় তা সবাই জানে। আপনার শরীরে মারনরোগের বাসা তৈরি করার সঙ্গে আপনার মুক্তোর মত দাঁতকে সারাজীবনের জন্য খারাপ করে দিতে পারে এই সুখটানের প্রভাব। তাই একদম বন্ধ করে দিন সিগারেট খাওয়া এতে আপনার শ্রীর এবং দাঁত দুটোই ভাল থাকবে।
লেবু বা টক জাতীয় খাবার যদিও দাঁতের পক্ষে ভাল কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে খেলে তা দাঁতের পক্ষে মারাত্বক ক্ষতি করতে পারে৷ দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়ার খুব সম্ভাবনা থাকে৷ কারণ টক জাতীয় ফল থেকে অনেক পরিমানের জল বেরোয় এবং অ্যাসিড জাতীয় দ্রব্যও থাকে৷ তাতে দাঁতের ভেতরের অংশ নরম হয়ে যায় এবং দাঁতের ভীষণ ক্ষতি করে৷ তবে আপনি যদি টক জাতীয় খাবার খেতে ভালবাসেন তাহলে সেটা খাবার পর একটু চিজ্ কামড়ে নিন বা খেতেও পারেন৷ চিজ্ অ্যাসিডের মান কমিয়ে দেয় ও দাঁতের সুরক্ষা দেয়৷
খুব শক্ত খাবার বা আলমন্ড কম খান৷ শরীরের পক্ষে ভাল হলেও আলমন্ড খুব শক্ত হবার কারণে দাঁতের শিরায় চিড় বা ভাঙন ধরায় এবং খুব স্বভাবিক ভাবেই দাঁতের ক্ষতি করে৷
এনার্জি ড্রিন্ক, বা খুব মিষ্টি সংমিশ্রিত পানীয় বর্জন করুন৷ এতে দাঁতের ভীষণ ক্ষতি হয়৷ এভাবেই মেনে চলুন এই টিপস্ আর নিজেকে সুন্দর রাখুন৷
♦ দাঁত ভালো রাখার জন্য দরকার নিয়মিত যত্ন। বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁতের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। কারণ সারারাত ঘুমানোর লম্বা সময়টাতে দাঁতের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁতের বিশেষ যত্ন নিয়ে ঘুমানো উচিত। আসুন জেনে নেয়া যাক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় ৪টি যত্ন সম্পর্কে।
◘ দাঁত মাজুন দাঁত ভালো রাখার জন্য ব্রাশ করার বিকল্প নেই। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে টুথপেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে দাঁত মেজে নিন। দাঁত মাজার সময় ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরের দিকে ব্রাশ করুন। অন্তত ২ মিনিট সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। ভালো মানের ব্রাশ ও ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। দুই তিন মাস পর পর টুথপেস্টের ব্র্যান্ড বদলানো ভালো। তাহলে দাঁত ভালো থাকে।
◘ দাঁত ফ্লসিং করুন দাঁতের ফাঁকে কিছু স্থান থেকে যেসব জায়গায় বিভিন্ন খাবার আটকে যায়। বিশেষ করে মাংস জাতীয় কিংবা আঠালো খাবার গুলো কেবল মাত্র দাঁত মেজে পরিষ্কার করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন দাঁত ফ্লসিং করা। যেসব জায়গা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব নয় সেসব জায়গায় ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। নাহলে দাঁতের ফাঁকের খাবার গুলোতে ব্যাকটেরিয়া জন্মে দাঁতের ক্ষতি করবে।
◘ জিভ পরিষ্কার করুন অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন কিন্তু জিভ পরিষ্কার করেন না। খাওয়ার সময় আমাদের জিভেও খাদ্যকনা লেগে যায় এবং জিভে সাদা আস্তরণ পড়ে। জিভ পরিষ্কার না করে ঘুমালে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্মে রাতভর দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই দাঁত ব্রাশ করার সময় জিভও পরিষ্কার করে নিন।
◘ দাঁত মাজার পরে কিছু খাবেন না দাঁত মাজার পর অনেকেরই ক্ষুধা লাগে। বিশেষ করে যারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকে তাঁরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা খাবার খান যেমন বিস্কুট, চা, রুটি, চকলেট ইত্যাদি। শোবার পূর্বে দাঁত ব্রাশ করে ফেলার পর পানি ছাড়া আর কোনও কিছুই খাওয়া উচিত নয়। আর খেতেই যদি হয় তাহলে খাওয়ার পর আবার দাঁত মেজে নেয়া উচিত। এছাড়াও দাঁত মাজার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধূমপান এড়িয়ে চলুন ও কোমল পানীয় পান করবেন না।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.