সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কখনো আপনার কথা হয়েছে?
‘নট রিয়েলি। ঠিক ওইভাবে কথা হয়নি। আশা করছি সামনে হবে।’
দেখা ?
‘হ্যাঁ, দেখা হয়েছে। গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে।’
দুজনে হাত মিলিয়েছেন? মানে করমর্দন?
‘সম্ভবত একবার ওর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। ছবিও তোলা হয়েছিল একসঙ্গে দাঁড়িয়ে। এর বেশি কিছু নয়। আশা করছি, ভবিষ্যতে ওর সঙ্গে কথা হবে। ও তো বাংলাদেশের গৌরব।’
খুলনা টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পাশে বসে গেছেন সাকিব। এ নিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশ আলোড়ন। বিদেশেও উচ্চারিত হচ্ছে সাকিবের নাম। দিল্লিতে বসেই এই খবর জেনেছেন সিদ্দিকুর, ‘আমি শুনেছি সাকিবের সাফল্যের কথা। ও বিরল একটা রেকর্ড করেছে। এ জন্য ওকে অভিনন্দন জানাই।’
এমনিতে নিজের খেলার বাইরে ফুরসত মেলে না। তবু সামান্য সুযোগ পেলে টিভিতে সাকিবের খেলা দেখেন। সাকিবের বিশেষ কোনো ইনিংস বা বোলিংয়ের কথা অবশ্য সেভাবে মনে করতে পারলেন না, ‘সারাক্ষণই তো নিজের খেলাটাই মাথায় ঘোরে।’ বিদেশে থাকলে ব্যস্ততার ফাঁকেও অনেকেই নাকি সাকিবের কথা জানতে চান, ‘এবার দিল্লিতে খেলা নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে, সেভাবে সাকিবকে নিয়ে কেউ কিছু জানতে চায়নি। তবে এর আগে সাকিব সম্পর্কে বিভিন্ন দেশে অনেকেই নানা কিছু জিজ্ঞাসা করেছে আমাকে।’
খুবই স্বাভাবিক। সাকিব শুধু বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন নয়, গোটা দেশেরই পোস্টারবয়। সিদ্দিকুর নিজেও বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন বিদেশের মাটিতে। গলফ কোর্সের সাফল্য তাঁকে নিয়ে গেছে অনেক উঁচুতে। জিতেছেন দুটি পেশাদার টুর্নামেন্ট। তবে তাঁর পা মাটিতেই আছে, ‘সাকিব দেখাল কীভাবে আরও ওপরে তুলতে হয় নিজেকে। আমিও চেষ্টা করছি আরও সামনে এগিয়ে যেতে।’
তবে আপাতত সিদ্দিকুরের চোখ চিয়াংমাইয়ের টুর্নামেন্টে। যদিও নিজের কাছে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা নেই সেখানে। পিঠের ব্যথাটা যে এখনো পুরো সারেনি। যেটির প্রভাব দিল্লির টুর্নামেন্টেও পড়েছে। তার পরও দিল্লিতে প্রথম রাউন্ডে একটু পিছিয়ে থাকলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। শিরোপা জেতার সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত পঞ্চম।
এতে অবশ্য মোটেও হতাশ নন সিদ্দিকুর, ‘শেষটা খারাপ হয়নি বলব। সামগ্রিকভাবে দারুণ একটা টুর্নামেন্টই কাটালাম দিল্লিতে।’ তাঁর কথায় বোঝা গেল, আপাতত গলফ কোর্স খুব বড় কিছু করার চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি নন। এখনো শতভাগ অনুশীলন নাকি করতে পারছেন না। ‘চোট নিয়েই বেশি ভাবছি এখন। পাঁচ মাস তো বিশ্রামেই ছিলাম। এ অবস্থায় নিজের যত্ন নিচ্ছি ভালোভাবে, এর বেশি কিছু নয়’—ধীরস্থিরই আছেন সিদ্দিকুর।
চোট কি তাহলে এগিয়ে চলার পথে বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়াল? সিদ্দিকুরের নিজের যদিও তেমন কোনো শঙ্কা নেই। যদিও জীবনের এই বাস্তবতা স্বীকার না করে তাঁর উপায় নেই, ‘ভবিষ্যতের জন্য এটা বড় এক অভিজ্ঞতা আমার।’ চোটের পড়ার আগে গত ছয় বছর টানা খেলেছেন, বিশ্রাম পাননি এতটুকু। সেই বিশ্রামের সুযোগ হিসেবেই দেখছেন পিঠের ব্যথাকে।
তবে এসব একপাশে সরিয়ে সিদ্দিকুর উজ্জীবিত হন একজন সাকিবের সাফল্যে। হোন না সিদ্দিকুর অন্য ভুবনের বাসিন্দা !


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.