প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচ টি ইমাম ছাত্রলীগের ‘শৃঙ্খলার’ ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের জন্য আমি গর্ববোধ করছি। ছাত্রলীগ সহযোগী প্রতিষ্ঠান বলে নয়...এই সংগঠন থেকে যারা উঠে এসেছে তাদের প্রতিষ্ঠিত করা দরকার।’
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা প্রতিষ্ঠিত হতে চাও, আমি প্রয়োজনে কোচিং ক্লাস নিতে রাজি আছি, তোমাদের লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হবে। তারপরে আমরা দেখব।’
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এইচ টি ইমাম আরও বলেন, ‘তোমরা অত্যন্ত মেধাবী, মেধাবীরাই রাজনীতি করে, রাজনীতিতে আসে। নেতৃত্ব তাঁরাই দেয়। তারপরও লিখিত পরীক্ষায় কিছুটা ভালো করতেই হবে। তোমরা পড়াশোনা করো। ভালোভাবে পরীক্ষা দাও।’
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, যারা চাকরির বাইরে অন্য কিছু করতে করতে চায় বা যাদের চাকরির বয়স নেই, তাদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকসহ আরও ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই সংস্থাপন সচিব বলেন, ‘তোমরা কি মনে কর নেত্রীর (শেখ হাসিনার) চেয়ে তোমাদের জন্য কারও বেশি দরদ আছে? নেত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি সব সময় বলেন, কীভাবে আমাদের ছেলেদের জন্য ব্যবস্থা করা যায়।’
গত নির্বাচনের সময় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমি নিজে অনেক উপজেলায় গিয়েছি। সেখানে আমাদের যারা ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন করেছি। তারা আমাদের পাশে আছে। তারা বুক পেতে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের হামলায় পুলিশের ১৯ জন প্রাণ দিয়েছে। কী নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের।’
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এ বি তাজুল ইসলাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.