google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html চীনের "নকল" গরুর মাংস ! ভিডিও সহ - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Tuesday, November 4

চীনের "নকল" গরুর মাংস ! ভিডিও সহ

চীনের ইয়ান্তা, সুযাকু এলাকা। যে স্থানটিতে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। বেশ সুন্দর লাল রঙয়ের মাংস। দেখে যে কারোই ইচ্ছা হবে কিছু মাংস কিনে বাড়ি নিয়ে যেতে। আপনিও কিনে নিয়ে গেলেন কিছু মাংস। মার্কেটটি গরুর মাংস বেচা-কেনার জন্য প্রসিদ্ধ। 




একদিন মার্কেটের কিছু মাংস বিক্রেতা স্থানীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়লো। বাকিটুকু শুনুন পুলিশের বিবৃতিতে- “ মার্কেটের কাছেই মাংসগুলো একটি কক্ষে রাখা হতো। টানা সাত দিন সাত রাত পুলিশ ছদ্মবেশে তাদের তদন্ত চালিয়ে যায়। কক্ষে ঢুকে আপনাদের প্রথমে তেমন কিছুই মনে হবে না। ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন, সেখানে মাংসগুলো এক ধরণের কালো তরলের সাথে সিদ্ধ করা হচ্ছে। আরেক দিকে আগেই সিদ্ধ করে রাখা মাংসগুলো মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে স্তূপ করে। চারপাশে মাছি ভন ভন করছে। এরকম ছয়টি স্থান পুলিশ সিলগালা করে দেয় যেখানে ‘নকল গরুর মাংস’ তৈরি করা হচ্ছিল। পুলিশ ১৭,৫০০ কেজি নকল মাংস উদ্ধার করে। আসলে ছিল সেগুলো শূকরের মাংস।“



সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ জনপ্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের কাছে এই ‘নকল গরুর মাংস’ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের খবর আসে। স্থানীয় পুলিশ ১০০ জন সদস্যদের একটি দল গঠন করে টানা সাত দিন ধরে তদন্ত কার্যক্রম চালায়। ৯ তারিখ বিকেল বেলা পুলিশের জরুরী সভা আহবান করা হয়। এতে কিভাবে এই ‘নকল গরুর মাংস’ বিক্রির হোতাদের ধরা হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হয়। পরের দিনের অভিযানে তারা তিনটি মার্কেট আর দশটি চক্রকে ধরার পরিকল্পনা করেন।

১০ তারিখ বিকেল ৫টা। পুলিশ পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে। প্রায় ১৭,৫০০ কেজি নকল গরুর মাংস ধ্বংস করে ফেলা হয়। ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে ৩৩জন পুরুষ ও ২২ জন নারী। আটক করা হয় ১৩ টি যানবাহন। পুলিশ একটি কক্ষের সন্ধান পায় যেটি বন্ধ করে রাখা ছিল। সেটা খোলার পর দেখা গেল বেশ কিছু শূকরের মাংস প্রক্রিয়াজাত করে ‘গরুর মাংস’ বলে বিক্রি করে দেয়ার অপেক্ষায় ছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ বড় monascorubrin, প্যারাফিন মোম, ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত লবণ ও আরো বেশ কিছু নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করে। এগুলোর সব গুলোই শূকরের মাংসকে গরুর মাংসে রূপ দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো। গ্রেপ্তারকৃত চক্রের সদস্যরা বাজার থেকে কম দামে শূকরের মাংস কিনে সেগুলোকে বিশাল ড্রামে জমা করতো। তারপর সেগুলোর সাথে প্যারাফিন মোম, ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত লবণ সহ বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হতো। যখন মাংসগুলো বের হতো সেগুলোকে দেখতে একদম গরুর মাংসের মতোই লাগতো।

স্থানীয় মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নকল গরুর মাংসের নমুনাগুলো নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভিডিও দেখুনঃ 







No comments:

Post a Comment

Thank you very much.