google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html তামিম-সাকিবের আরেক অর্জন - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Tuesday, November 4

তামিম-সাকিবের আরেক অর্জন

বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের নামের পাশে সাত হাজার রান—কয়েক বছর আগেও এটা অভাবিত ছিল। গতকাল প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাত হাজার ক্লাবে পা রেখেছেন তামিম ইকবাল। আজ সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন সাকিব আল হাসানও।




[caption id="" align="alignleft" width="446"] আগের দিন তামিম, আজ সাকিবও ঢুকে পড়লেন সাত হাজারি ক্লাবে[/caption]

সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে তামিম-সাকিব দুজনের নামের পাশেই এখন সাত হাজারেরও বেশি রান। তামিম করেছেন সাত হাজার ৭৫। সাকিব সাত হাজার ২২।
তামিমের চেয়ে সাকিবের অবশ্য একটা ইনিংস কম লেগেছে সাত হাজারি ক্লাবে ঢুকতে। যদিও ম্যাচ আবার সাকিব খেলেছেন বেশি। ২০২ ম্যাচে ২৩৪ ইনিংসে এই অর্জন পুরো করেন তামিম। ২০৭ ম্যাচে ২৩৩ ইনিংসে সাত হাজারি ক্লাবে ঢুকেছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটাও ছুঁয়েছেন তামিম। মোহাম্মদ আশরাফুলের মতো তাঁরও এখন নয়টি সেঞ্চুরি। সাকিবের সেঞ্চুরি আটটি।
সাত হাজারি ক্লাবের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন আশরাফুলই। ছয় হাজার ৬৫৫ রানে আটকে থাকা ক্যারিয়ারটি আবার পুনরুজ্জীবনের সুযোগ তিনি পাবেন কি না, সময়ই সেটি বলে দেবে। বাংলাদেশের পক্ষে আর মাত্র দুজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কমপক্ষে পাঁচ হাজার রান করেছেন। মুশফিকুর রহিমের রান পাঁচ হাজার ৮৯৩। হাবিবুল বাশার করেছেন পাঁচ হাজার ১৯৪।

লাগাম বাংলাদেশের হাতেই



প্রথম ইনিংসে তৃপ্তিদায়ক ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ভালো কিছুর ইঙ্গিত মিলল বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে শেষ বিকেলে ব্যাট করেছে ১৯ ওভার। তাতেই ১ উইকেট হারিয়েছে সফরকারী দল। ৩৮০ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের হাতেই ম্যাচের লাগাম।
১৭ রানের মাথায় ওপেনার সিকান্দার রাজাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ঢাকা টেস্টের নায়ক তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে রিভিউ নিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সিকান্দার ফেরার আগে করেন ১১ রান। দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৯। ব্রায়ান চারি উইকেটে আছেন ২১ রানে আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১৫ রানে।
প্রথম দিনে ৯০ ওভারে উঠেছিল ৩ উইকেটে ১৯৩ রান। তামিম ইকবাল উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকায় খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের বোলাররা। আজ সারা দিনে খেলা হয়েছে ৮৭.৫ ওভার। দুই দল মিলে রান তুলেছে ২৯৩, উইকেট পড়েছে ৮টি। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের চরিত্র বদলের আভাস মিলছে এতেই। বাংলাদেশের বোলাররা এ সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারেন, সেটাই দেখার।
আগের দিন বড় রানের স্বপ্ন দেখিয়েছিল তামিম-সাকিব জুটি। হতাশ করেননি দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটিং-স্তম্ভ । খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দারুণভাবে এগিয়ে নিলেন দলীয় ইনিংসটাকে। গতদিনের ধৈর্যের প্রতিমূর্তি তামিমের সেঞ্চুরি দেখার অপেক্ষায় ছিল সারা দেশ। সে অপেক্ষা ফুরাল। এমসাঙ্গুয়েকে বাউন্ডারি মেরে চার বছরের সেঞ্চুরি-খরা কাটালেন বাঁ–হাতি ওপেনার। সেঞ্চুরিটি পেতে তামিমকে খেলতে হলো ৩১২ বল। পড়ে থাকতে হলো পাক্কা ৪৩৮ মিনিট! মাসাকাদজার বলে ফেরার আগে তামিমের পাশে লেখা হলো ১০৯ রান।
তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া সাকিবের প্রাপ্তিও ঢের। তুলে নিলেন তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিটা। শতক উদযাপন হলো দেখার মতোই। উড়ন্ত চুম্বনের পর আঙ্গুল দিয়ে ‘হৃদয়’ এঁকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ করলেন প্রিয়তমা স্ত্রীকে! তাঁর সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরির স্কোরটি (১৪৪) খুলনাতে ছাপিয়ে যাবে বলেই যখন মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই ম্যালকম ওয়ালারের একটি সোজা বলে বোল্ড । নিজের সর্বোচ্চ রানের স্কোরটা পেরোতে পারেননি, অসাধারণ ইনিংসটা থেমেছে ১৩৭ রানে।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ব্যাট হাতে এমন একটা ইনিংস সাকিবের জন্য জরুরিও ছিল। সাকিব-তামিম মাঠের বাইরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মাঠেও যদি দুজনের জুটি জমে যায়, প্রতিপক্ষের তাতে কী হয়, ভালোই বুঝেছেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা! দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে এসেছে ইনিংস সর্বোচ্চ ১৩২ রান।
তামিমের পর সাকিবের আরেকটি জুটি গড়ার সুযোগ ছিল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে। কিন্তু মাত্র ১১ রানেই মুশফিক রানআউটে কাটা পড়ায় তা আর হয়নি। মুশফিকের বিদায়ের পর শুভাগত হোম ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিবকে। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৫৪ রান। তবে শুভাগতর প্রচেষ্টা শেষ হলো ১৫ রানেই। শুভাগতর বিদায়ের পর হঠাৎই যখন ‘চারশ’ নিয়ে সংশয়, ঠিক তখনই মিরপুরের সেই শ্বাসরুদ্ধকর বিকেলের মতোই জ্বলে উঠল তাইজুলের ব্যাট। ধীরলয়ে রান তোলা তাইজুল ফেরার আগে করলেন ৩২, অপর প্রান্তের শাহাদাতের সংগ্রহ ১৮। দুজনকেই ফিরিয়েছেন চাতারা। জিম্বাবুয়ের বোলারদের সংগ্রামের এই টেস্টে যা একটু আলো ছড়িয়েছেন তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, চাতারা ও ম্যালকম ওয়ালার। তিনজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। চিগুম্বুরা ও মাসাকাদজার সংগ্রহ ১টি করে।

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.