কারণ
ভাইরাস ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার কারণে শ্বাসনালির সংক্রমণ হতে পারে। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে এসব জীবাণু অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষণ
হাঁচি, কাশি, সর্দি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সাধারণ সমস্যাগুলোই শ্বাসনালিতে সংক্রমণের লক্ষণ। এর সঙ্গে থাকতে পারে জ্বর ও মাথাব্যথাও। শরীরে অস্বস্তিকর অনুভূতি কিংবা ক্ষুধামান্দ্যও থাকতে পারে এসবের পাশাপাশি।
যা করতে পারেন
এসব সমস্যা হলে গরম চা পানে কিছুটা উপকার পেতে পারেন। গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও সমস্যা খানিকটা উপশম হবে। জ্বরের জন্য খেতে পারেন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ। যাঁদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট নেই, তাঁরা অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধও সেবন করতে পারেন। তবে নাকের বন্ধ ভাব দূর করার জন্য যেসব ড্রপ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা একেবারেই ঠিক নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্বাসনালির সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হয় না।
ভয়ের কারণ আছে কি?
যদি সাধারণ সমস্যাগুলোর পাশাপাশি বুকে ব্যথা থাকে অথবা কাশির সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অতিসত্বর। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের লক্ষণ কিছুটা তীব্রতর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই সমস্যাগুলোও সেরে যায়।
প্রতিরোধের উপায়
হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখুন। যেখানে-সেখানে কফ বা থুতু ফেলা যাবে না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার এসব অভ্যাস গড়ে তুললে শ্বাসনালির সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। আর এসব বিষয়ে নিজেকে যেমন সচেতন থাকতে হবে, ঠিক তেমনি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে অন্যদের মধ্যেও।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.