বাংলাদেশের দেওয়া ২১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন দুই লঙ্কান ওপেনার লাসিথ লক্ষ্মণ ও সালিন্দু উসান। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮২ রান। এ জুটি ভাঙেন অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা। সঞ্জিতের বলে ফেরার আগে লক্ষ্মণের সংগ্রহ ৪২ রান। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে ফেরার আগে উসানের সংগ্রহ ইনিংস-সর্বোচ্চ ৫৩ রান।
একটা সময় জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব ১৯ দল। কিন্তু বাংলাদেশের স্পিন ঘূর্ণিতে হঠাৎই পথ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। ৩৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৬ থেকে ৪৮.৫ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট—শেষ ৫২ রানেই লঙ্কানরা হারিয়েছে ৭ উইকেট। তবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৪৬.৫ থেকে ৪৯.৫ ওভার। মূলত এ তিনটি ওভারেই লঙ্কানদের ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের স্পিনাররা। এ তিন ওভারে মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ৫ উইকেট! বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের স্পিনত্রয়ী—মেহেদি-সালেহ আহমদ-সঞ্জিত তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের সাত উইকেট। এর মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি সালেহর সংগ্রহে, দুটি করে নিয়েছেন মেহেদি ও সঞ্জিত। বাকি দুটি পেসার সাইফুদ্দিনের দখলে। আর একটি ছিল রানআউট।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ যুবাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২১২ রান। সিরিজে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করা নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি ফসকে গেছে ৮ রানের জন্য। আরেক ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান জাকির হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ রান। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ফার্নান্দো ও আমারেসিংহে।
সিরিজে বোলিং-ব্যাটিং—দুই বিভাগে বাংলাদেশের যুবাদের জয়জয়কার। সেরা তিন ব্যাটসম্যানের দুজনই বাংলাদেশি। নাজমুল করেছেন সিরিজসেরা ২৮৪ রান। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চার ম্যাচেই করেছেন ফিফটি! তৃতীয় সর্বোচ্চ রান জাকিরের, করেছেন ১৬৭।
বোলিংয়ে অবশ্য শীর্ষ স্থানটি বাংলাদেশের না থাকলেও সেরা তিনের দুজনই বাংলাদেশি। সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব ১৯ দলের পেসার ফার্নেন্দো। ১০ উইকেট নিয়ে দুইয়ে সালেহ ও ৯ উইকেট নিয়ে তিনে মেহেদি।
No comments:
Post a Comment
Thank you very much.