কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, দেশে প্রকৃত পক্ষেই বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সংসদে আরো তিনটি বিরোধীদল নেত্রী বানানো হলেও জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতির বিরোধী দলীয় নেত্রী হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তার প্রতি সরকার যে ধরণের আচরণ করছে তা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয়। বাঙালী সমাজের সভ্যতার মধ্যে পড়ে না। বিশেষ করে তার গুলশান কার্যালয়ে খাবার সরবরাহ নিয়ে যে নকশা করা হচ্ছে তা কোনোভাইে গ্রহণীয় নয়। তিনি গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, কতখানি নিচে নেমে গেলে এমন আমরণ করতে পারে একটি সরকার ।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেকোনো সমস্যাই রাজনৈতিক সমস্যা। এর সমাধান কোনোভাবেই শক্তি দিয়ে সমাধান কর যাবে না। গায়ের জোড়ে সমাধান করা হবে না। আজ বুধবার মতিঝিলস্থ তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম একথা বলেন।
দেশের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আলোচনায় বসতে এবং বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিরবিচ্ছিন্ন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক তুলে ধরতে আজ এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন থেকে কাদের সিদ্দিকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ সময়ে বাংলাদেশ সফরে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এর ব্যাখা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে এখন জ্বলন্ত অবস্থা। এর পাশাপাশি এদেশের জনগণ মনে করেন, বর্তমানে দেশে একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতাসীন। তাই এ ধরণের সরকারের আমন্ত্রণে ভারতের জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসতে পারেন না। বাংলাদেশের মানুষ এটা ভালোভাবে নেবে না। কারণ বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন হচ্ছে একটি নিন্দিত সরকার। এমন ধরণের জনবিচ্ছিন্ন সরকারের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসতে পারেন না। এলে জনগণের ফুলের মালা পাবেন না, জনগণের জ্বালা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, কাদের সিদ্দিকী তার অবস্থানের ৪০তম দিনে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সাক্ষাত চেয়ে চিঠি দেবেন। তবে চিঠি তিনি একটি দলের প্রধান হিসেবে নন, বাংলাদেশের জন্মের সাথে রক্ত জড়িয়ে রয়েছে এমন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিঠি দিবেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার তার পতন আরো ত্বরান্বিত করতে চাইলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করবে। আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে চাইলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ভয় দেখাবে, হুমকি ধমকি দেখাবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব উন নবী সোহেল, আতিকুর রহমান সাদেক, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ত রিফাতুল ইসলাম দ্বীপ, যুগ্ম-আহ্বায়ক কাওছার জামান প্রমুখ।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.