google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html বাংলাদেশ এখন ২০ ওভারের ক্রিকেটটাও খেলতে শিখে গেছে - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Tuesday, March 8

বাংলাদেশ এখন ২০ ওভারের ক্রিকেটটাও খেলতে শিখে গেছে


বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ভালো খেলতে পারে না বলেই এত দিন জানত সবাই। এশিয়া কাপ সেই ধারণা বদলে দিল। ফাইনালে ভারতের কাছে হারলেও প্রাপ্তির খাতা শূন্য থাকছে না। সেখানে লাল কালিতে লেখা হয়ে গেছে, বাংলাদেশ এখন ২০ ওভারের ক্রিকেটটাও খেলতে শিখে গেছে।
এশিয়া কাপ থেকে সেই তৃপ্তিই নিচ্ছেন প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ, ‘আমাদের ছেলেরা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভালো খেলেছে। তিনটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে খেলে রানার্সআপ হওয়াও বিরাট ব্যাপার। এটা আমাদের জন্য নতুন একটা শুরু।’ এর আগে বিচ্ছিন্ন কিছু সাফল্যই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের সান্ত্বনা ছিল। আর এখন টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরেও বাংলাদেশ খেলতে যাচ্ছে বুক ফুলিয়ে। প্রধান নির্বাচক এটাকে বলছেন, ‘নিজেদের নতুন করে জানা...।’
ফারুকের আশা, ‘বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই মনে হয়। আমি তো মূল টুর্নামেন্টের ব্যাপারেও এখন আত্মবিশ্বাসী। হারজিত পরে, ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই খুশি হব আমি।’ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সব দলের বিপক্ষেই ১৪০-১৫০ রান করার সামর্থ্য রাখেন বলে বিশ্বাস প্রধান নির্বাচকের। স্কোরবোর্ডে সে রকম রান থাকলে বোলারদেরও সামর্থ্য আছে ম্যাচ জেতানোর।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায় কোনো আফসোস নেই সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক ক্রিকেট পরিচালনা-প্রধান নাঈমুর রহমানেরও। ফাইনালে যাওয়াটাই তাঁর দৃষ্টিতে ‘অনেক বড় পাওয়া’। এশিয়া কাপের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি অবশ্য নাঈমুর মনে করছেন টি-টোয়েন্টির সামর্থ্য প্রমাণকে, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা সব সময় শঙ্কায় থাকতাম। কিন্তু এখন প্রমাণ হয়ে গেল, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতেও উন্নতি করছি।’ কয়েক মাস ধরেই অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে দল। এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠাকে তারই ফল মনে করছেন নাঈমুর।
তবে দলের কোনো কোনো জায়গায় এখনো কিছুটা উন্নতির প্রয়োজন দেখছেন তিনি, ‘আমাদের লেট মিডল অর্ডার যদিও ভালো করছে, মিডল অর্ডার নিয়ে আরেকটু কাজ করা দরকার। তা ছাড়া ফাইনালে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে আরেকটু আগে নামানো যেত কি না, সেটা নিয়েও ভাবার আছে।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সাফল্যে বড় ভূমিকা দেখছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের, ‘কোচকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে অনুশীলন করান তিনি। খেলোয়াড়েরাও সেটাকে খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পেরেছে।’ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি নিয়ে নির্বাচকদের চিন্তা অনেক কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন মিনহাজুল, ‘ব্যাটিং অর্ডারের ছয়-সাত নম্বর জায়গা নিয়ে চিন্তা ছিল। মাহমুদউল্লাহ সে ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছে। ফর্মে না থাকা তাসকিন, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় পড়া আল আমিন পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী বল করতে পেরেছে। টি-টোয়েন্টিতে আমরা এখন খারাপ অবস্থা থেকেও ফিরে আসতে পারছি।’
এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস আজ থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সঙ্গী হবে, এমনটাই প্রত্যাশা মিনহাজুলের। কাল ভারতের ধর্মশালা থেকে মুঠোফোনে একই আশার কথা জানালেন ক্রিকেট পরিচালনা-প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, ‘টানা খেলে ছেলেরা সবাই এখন ক্লান্ত। তবে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই কারোই। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলায় খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তি অনেক বেড়ে গেছে। আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় অর্জন এটাই।’
দলের সঙ্গে ধর্মশালায় গিয়ে কাল দারুণ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন আকরাম। সেখানেও নাকি সাকিব-মুস্তাফিজ-মাহমুদউল্লাহদের ভীষণ জনপ্রিয়তা! ‘এখানে আমাদের ক্রিকেটাররা খুব জনপ্রিয়। আমার বিশ্বাস, ম্যাচে ওরা স্থানীয় দর্শকদের ভালো সমর্থন পাবে।’
টি-টোয়েন্টি যতটা ব্যাট-বলের খেলা, ঠিক ততটা লড়াই মানসিক শক্তিরও। ঢাকার মতো ধর্মশালায়ও সেটা পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। এখন শুধু এশিয়া কাপে আবিষ্কৃত টি-টোয়েন্টির সামর্থ্যটাকেই ধরে রাখতে হবে।


  সূত্রঃ প্রথমআলো   



No comments:

Post a Comment

Thank you very much.