google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html বাংলাদেশের প্রথম আত্মস্বীকৃত খুনি " শেখ মুজিব " - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Friday, August 15

বাংলাদেশের প্রথম আত্মস্বীকৃত খুনি " শেখ মুজিব "

সম্প্রতি নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খান বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ নসিহত করে বলেছেন, 'এনকাউন্টারে' সন্ত্রাসী মরলে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না ! মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী, উনি আরো দাবি করেছেন, বর্তমানে 'এনকাউন্টারের' কারণেই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ রয়েছে ! 
আপনাকে সাধুবাদ জানাই, বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে আপনি নতুন কোনো কথা বলেননি বলে । ক্রসফায়ার (পড়ুন, খরচ ফায়ার)/ এনকাউন্টারের পক্ষে এমন ফতোয়া ক্ষমতাসীন প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অনেক রথী-মহারথী নেতা-নেত্রীই অনেকদিন ধরে বলে আসছেন।
তবে আপনি এইসব মহান উক্তি যখন করছেন, তখন ইউকিলিকস র‌্যাব (র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান নয়, পড়ুন, রক্ষী বাহিনী এগেইন ব্যাক) নিয়ে আপনাদের গর্বের বেলুনটি লিক করে দিয়েছে। বেয়াড়া ইউকিলিকসকে উদ্ধৃত করে দি গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, গণতন্ত্রের মহাপ্রভু ব্রিটিশ সরকার স্বয়ং নাকি খুনি এই সরকারি বাহিনীটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ! আর প্রতিষ্ঠার পরে গত ছয় বছরে র‍্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নাকি মারা গেছে হাজার খানেক লোক।
ইতিহাস সাক্ষী, পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সিরাজ সিকদারকে বন্দী অবস্থায় গুলি করে হত্যার পর তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ('বঙ্গবন্ধু' বলবো কী?)  সংসদে দম্ভ করে বলেছিলেন, কোথায় আজ সিরাজ সিকদার? এরও আগে তিনি কমিউনিস্ট ভূতের আতংকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, নকশাল দেখা মাত্র গুলি করা হবে! মাননীয় মন্ত্রী, সে দিনও আপনারা ভুলে গিয়েছিলেন, নকশাল কারো গায়ে লেখা থাকে না।

কিছুদিন আগে মহান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এ হেন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আত্মরক্ষার সময় এসব ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার-এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
অথচ দেখুন, আপনাদের ক্রসফায়ার/ এনকাউন্টারের গল্পগুলো কী পুরনো ও স্যাঁতসেঁতে:
অমুক সন্ত্রাসীকে এতো-শত অস্ত্র-শস্ত্রসহ র‌্যাব/ পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তারের পর তাহাকে লইয়া অস্ত্রভান্ডার উদ্ধারের উদ্দেশ্যে রাত এতোটার দিকে রওনা হইলে তমুক জায়গায় তাহার অপরাপর সন্ত্রাসী সহযোগীরা উহাকে ছিনাইয়া লইবার জন্য আগে হইতে ওত পাতিয়া থাকে। তাহারা আসামী ছিনাইয়া লইবার নিমিত্তে উপর্যুপরি এলোপাথারি গুলি ছুঁড়িতে থাকে। র‌্যা¡ব/ পুলিশ সদস্যরাও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়িতে থাকে। উভয় পক্ষের ১০/১৫/২০/২৫/৩০ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর সন্ত্রীরা রণে ভঙ্গ দিয়া পলাইয়া যায়। পরে র‌্যাব/ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও গুলির খোসা উদ্ধার করে। এদিকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী অমুক র‌্যাব/ পুলিশের ক্রসফায়ারে/ এনকাউন্টারে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তাহার বিরুদ্ধে অমুক-তমুক থানায় হত্যা, ধর্ষণ, খুন-জখম-ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্রের বিষয় এতো-এতো মামলা রহিয়াছে...

ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার-এর ইতিহাস অবশ্য খুব বেশি পুরনো নয়। এর সূত্রপাত ওপারে ইন্দিরা গান্ধির কংগ্রেসের আমলে, সাতের দশকে নকশালি উৎপাতের সময়। নকশাল গ্রেফতার করতে করতে ইন্দিরা সরকার জেলাখানা ভর্তি করে ফেলার পরেও নকশালি বিদ্রোহ দমন করতে না পেরে ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার চালু করেন; সেখানেও তার নেপথ্যের গল্পটি পূর্বোক্ত ( দেখুন, হাজার চুরাশির মা--মহাশ্বেতা দেবী)।
এপারে এটি আমদানী করেন আওয়ামী লীগের প্রধান কাণ্ডারী, শেখ মুজিবুর রহমান (ভাগ্যিস, ১৯৭৫ এ আত্নস্বীকৃত খুনী কর্নেল ফারুক-রশিদ গং স্বপরিবারে মুজিব হত্যার কাণ্ডটিকে হত্যা বলেই ঘোষণা করেছিলেন, ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার নয়।)। ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে এক নারকীয় নৃশংস হত্যাকান্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের ৭ জন ছাত্রকে চোখ বেধে একসঙ্গে হত্যা করা হয়। ডিসেম্বরের ২৮ তারিখে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় জাসদ নেতা সিরাজ শিকদারকে। এরপর তাকে শেখ মুজিবের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডের পর স্বয়ং শেখ মুজিব বলেছিলেন, সিরাজ শিকদার আজ কোথায় ? কিভাবে একজন রাষ্ট্রপ্রধান একটি হত্যাকান্ডের পক্ষ নেয় ? সে হিসেবে সিরাজ সিকদার ক্রসফায়ার/এনকাউন্টারের শিকার প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তিও বটে।

তাই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে প্রাচীন শাসক যখন সক্রেটিসকে হেমলকে ¤ন করেন, আগুনে পুড়িয়ে মারেন ব্রুনোকে বা নির্বাসনে দেন গ্যালিলিওকে --তখন তাদেরকেই অনেক বেশী গণতন্ত্রী বলে মনে হয়। তারা আর যা-ই করুক আপনাদের মতো 'আইনের শাসন' প্রতিষ্ঠার নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পাইকারিবিক্রেতা সেজে মুক্তিযোদ্ধা নিরাপদ বৈরাগীকে (৫৮) ক্রসফায়ার করার পর আবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফনের ভণ্ডামিটুকু অন্তত করেনি (দেখুন, 'বন্দুকযুদ্ধে' মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্‌ৎকার, দৈনিক প্রথম আলো,১০ অক্টোবর, ২০০৯) !

বাংলদেশিরা তাদের দেশের জন্ম নিয়ে উচ্ছ্বসিত, কিন্তু নিয়মসংগতভাবে ঐতিহাসিক রেকর্ড-রাখার কাজ তারা সামান্যই করেছে। এবং ১৯৭১ বিষয়ে ব্যাপক লেখালেখি হলেও তার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন আবেগাক্রান্ত হওয়ার জন্য অগুরুত্বপূর্ণ।' এইসব ঔদ্ধত্য ও অভিযোগ অংশত জায়েজ হয় আমাদের রাজনৈতিক দুটি বলয়ের আচরণের জন্যই। এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ঐকমত্য সৃষ্টি হয়নি। সেই কাজ এখন আইনের বলে উচ্চ আদালত দিয়ে করা হচ্ছে, কিন্তু ইতিহাসের শল্যচিকিতসা আদালত দিয়ে হবার নয়। এ দেশের উভয় অংশের শাসকরা আগে ইতিহাসটা-হত্যা করেছেন, তারপর এখন গায়ের জোরে আদালতকে দিয়ে তা পুনর্লিখন করছে।পৃথিবীর আর কোথাও রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বিতর্ক আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয় কিনা আমার জানা নাই। এটা রাজনৈতিক সমাজ আর একাডেমিক সমাজের মিথষ্ক্রিয়ায় করবার কাজ।

স্পিকার শাহেদ আলীকে শেখ মুজিব নিজ হাতে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে মেরেছিলেন
শাহেদ আলীর মেয়ের সেদিন গায়ে হলুদ ছিলো, বলা হয় বিয়েতে নাকি মেয়েটির মত ছিলো না। রাগ করে বাপকে বলেছিলেন, তোমার সাথে কথা বলব না। মেয়েটি সত্যিই বাবার সাথে কথা বলার আর সুযোগ পায়নি। মুজিবের হাতে মারধরের পর শাহেদ আলীকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো পরে তিনি সেখানে পরোলোক গমন করেন। চাঁদপুরের প্রথম এফআরসিএস ডা. গফুর তার মেয়ের জামাই। 

lhW b„m„m„c copyDemocrecy

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.