১৯৯৮ সালের ১৪ই মে ভারতের সাথে ওয়ানডে দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন এই ডানহাতি ওপেনার। খেলেছেন ১৮ টি ওয়ানডে।করেছেন ২৪.৯৪ গড়ে ১টি শতক ও ২টি অর্ধশতক সহযোগে ৪৪৯ রান। ছিলেন বাংলাদেশের ১ম টেস্ট ম্যাচের দলে। ৯ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে করেছেন মাত্র ২৪১ রান। গড় ১৩.৩৮!! সরবোচ্চ রান ৭১।
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কার্যত শেষ হলেউ ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ঘরোয়া লীগে।তাছাড়া ২০১১ সালে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ২টি ম্যাচ খেলেন তিনি। অপির জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ১৯৯৮ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে অপির এক পুল শটে মাথায় আঘাত পান ভারতীয় ব্যাটসম্যান রমন লম্বা। পরে তিনি মারাও যান।
অপির জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টা ছিলো এলাম, দেখলাম,জয় করলাম আর তারপর হারিয়ে গেলাম এর মতো। গল্পটা শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ করতে পারেননি যেভাবে করতে পারতেন। ছোটগল্পের নায়কই বটে তিনি।
৪০ বছর বয়সে দিব্যি খেলে যাচ্ছেন পাকিস্তানের মিসবাহ। আর আজ ৩৬ এ পা দেওয়া অপির ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে ১১ বছর আগে! ফর্ম হারিয়ে ফেলা অপির পূনরবাসন করলে হয়তবা সে ফিরে আসতে পারত আন্তর্জাতিক আঙিনায়।
“১০১” এই সংখ্যাটা একজন মানুষকে সারা জীবনের জন্যে অমর করে দিয়েছে। এই ১০১ সংখ্যাটি রান, আর মানুষটি একজন ক্রিকেটার। হ্যা হয়ত বলবেন আজকাল ১০১ রান কিই বা এমন ব্যাপার??? কিন্তু যখন জানবেন এই সংখ্যাটাই বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে তে সর্বপ্রথম তিন অংকের রান তখন আপনি নড়েচড়েই বসবেন, জানতে চাইবেন সেই মানুষটির নাম। তার নামঃ মেহরাব হোসাইন অপি।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.