রবিবার যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার লক্ষ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম সদস্যমণ্ডলীর সভায় এমন কথা অশঙ্কা করেন তিনি।

যুবলীগ সভাপতি জানান, ‘মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের চেহারা আস্তে আস্তে জনগণের কাছে পরিষ্কার হতে চলেছে। লতিফ সিদ্দিকী, একে খন্দকারের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পিয়াস করিমের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিবৃতি দেয়ার ঘটনা ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। সরকারের আরো ঘনিষ্ট লোক দ্বারাও এই সব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য আসতে পারে। এই জন্য যুবলীগ নেতা কর্মীদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি আরো জানান, ‘১৫ আগস্ট যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সে কারণ বাস্তবায়নে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের মধ্যেও এই ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে। লতীফ সিদ্দিকীকে দিয়ে পূজা উৎসবের সময় কেন এধরনের বক্তব্য দেয়ানো হলো? দেশে হিন্দু-মুসলিম রায়ট সৃষ্টি করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা মন্ত্রিপরিষদ ও এমপি পরিষদের সদস্যদের ব্যবহার করতে পারে। এ জন্য যুবলীগ নেতাকর্মীদের সচেতন থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একে খন্দকারের বিতর্কিত গ্রন্থের ব্যাপারে অনেকেই গ্রন্থটিকে বাজেয়াপ্ত করার পরামর্শ দিলেও নেত্রী তা করেননি। তিনি নীরবে ধৈর্য্য ধারণ করেছেন। কিন্তু ধর্মীয় ব্যাপারে কোনো ছাড় না দিয়ে লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সমন জারি করেছেন।’
পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া প্রসঙ্গে যুবলীগ সভাপতি জানান, ‘পিয়াস করিম একাধিক বার বিভিন্ন টকশোতে স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি শহীদ মিনারে বিশ্বাসী নন। পিয়াস করিম ছিলেন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল করিমের ছেলে। ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ছিলেন রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই আন্দোলনের প্রথম প্রস্তাবক। সে কারণে আব্দুল করিম ধীরেন্দ্র নাথ দত্তকে ২ মাস ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় আটকে রেখে প্রথমে দুই হাত ভেঙে পরে দুই পা ভেঙে নির্যাতন করে হত্যা করেছিল।’
এর আগে এইদিন দুপুরে বিয়াম মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘পিয়াস করিমের বাবা এমএ করিম একজন সনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। একাত্তরে কুমিল্লায় থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে পিয়াস করিমকে পাকিস্তানি আর্মিরা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তখন পিয়াস করিমের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। পরবর্তীতে এমএ করিম সাহেব বন্ড দিয়ে পিয়াস করিমকে পাকিস্তানি আর্মিদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনেন। তবে একাত্তরের শেষদিকে তিনি (পিয়াস করিমের বাবা) শান্তিকমিটিতে যোগ দেন। এবং তাদেরকে ডান্ডি কার্ড প্রদান করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
৮৬ বছর বয়সী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ড. পিয়াস করিমের বাবা অ্যাডভোকেট এমএ করিম তুলে দিয়েছিলেন এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী।
যুবলীগের সভায় আরো বক্তব্য দেন- যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহম্মেদ আল কবির, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান আতা, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, এডভোকেট বেলাল হোসেন, এনায়েত কবির চঞ্চল, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, নখিল গুহু, ডা. মোখলেছ উজ্জামান হিরো, এএম আমজাদ হোসেন, আবুল বাশার, মোতাহার হোসেন সাজু , আনোয়ারুল ইসলাম,জাকির খান।
উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, শিক্ষা প্রশিক্ষণ পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ বোরহান উদ্দিন বাবু প্রমুখ।
যুবলীগ সভাপতি নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৭৩ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
যুবলীগ সভাপতি জানান, ‘মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের চেহারা আস্তে আস্তে জনগণের কাছে পরিষ্কার হতে চলেছে। লতিফ সিদ্দিকী, একে খন্দকারের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পিয়াস করিমের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিবৃতি দেয়ার ঘটনা ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। সরকারের আরো ঘনিষ্ট লোক দ্বারাও এই সব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য আসতে পারে। এই জন্য যুবলীগ নেতা কর্মীদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি আরো জানান, ‘১৫ আগস্ট যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সে কারণ বাস্তবায়নে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের মধ্যেও এই ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে। লতীফ সিদ্দিকীকে দিয়ে পূজা উৎসবের সময় কেন এধরনের বক্তব্য দেয়ানো হলো? দেশে হিন্দু-মুসলিম রায়ট সৃষ্টি করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা মন্ত্রিপরিষদ ও এমপি পরিষদের সদস্যদের ব্যবহার করতে পারে। এ জন্য যুবলীগ নেতাকর্মীদের সচেতন থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একে খন্দকারের বিতর্কিত গ্রন্থের ব্যাপারে অনেকেই গ্রন্থটিকে বাজেয়াপ্ত করার পরামর্শ দিলেও নেত্রী তা করেননি। তিনি নীরবে ধৈর্য্য ধারণ করেছেন। কিন্তু ধর্মীয় ব্যাপারে কোনো ছাড় না দিয়ে লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সমন জারি করেছেন।’
পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া প্রসঙ্গে যুবলীগ সভাপতি জানান, ‘পিয়াস করিম একাধিক বার বিভিন্ন টকশোতে স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি শহীদ মিনারে বিশ্বাসী নন। পিয়াস করিম ছিলেন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল করিমের ছেলে। ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ছিলেন রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই আন্দোলনের প্রথম প্রস্তাবক। সে কারণে আব্দুল করিম ধীরেন্দ্র নাথ দত্তকে ২ মাস ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় আটকে রেখে প্রথমে দুই হাত ভেঙে পরে দুই পা ভেঙে নির্যাতন করে হত্যা করেছিল।’
এর আগে এইদিন দুপুরে বিয়াম মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘পিয়াস করিমের বাবা এমএ করিম একজন সনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। একাত্তরে কুমিল্লায় থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে পিয়াস করিমকে পাকিস্তানি আর্মিরা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তখন পিয়াস করিমের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। পরবর্তীতে এমএ করিম সাহেব বন্ড দিয়ে পিয়াস করিমকে পাকিস্তানি আর্মিদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনেন। তবে একাত্তরের শেষদিকে তিনি (পিয়াস করিমের বাবা) শান্তিকমিটিতে যোগ দেন। এবং তাদেরকে ডান্ডি কার্ড প্রদান করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
৮৬ বছর বয়সী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ড. পিয়াস করিমের বাবা অ্যাডভোকেট এমএ করিম তুলে দিয়েছিলেন এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী।
যুবলীগের সভায় আরো বক্তব্য দেন- যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহম্মেদ আল কবির, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান আতা, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, এডভোকেট বেলাল হোসেন, এনায়েত কবির চঞ্চল, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, নখিল গুহু, ডা. মোখলেছ উজ্জামান হিরো, এএম আমজাদ হোসেন, আবুল বাশার, মোতাহার হোসেন সাজু , আনোয়ারুল ইসলাম,জাকির খান।
উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, শিক্ষা প্রশিক্ষণ পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ বোরহান উদ্দিন বাবু প্রমুখ।
যুবলীগ সভাপতি নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৭৩ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.