বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ইসির এনআইডি উইং (জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ) থেকে বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবনায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এই চার্জ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। ইসি আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে চার্জ আদায়ের চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ফ্রি আইডি কার্ড পাওয়ার সুযোগ বহাল রাখা হচ্ছে।টাকা ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যাবে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুুল মোবারক বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা এবং ১০ সেপ্টেম্বর প্রবিধিমালা জারি করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে এখন আর টাকা ছাড়া পাওয়া যাবে না। এমনকি কার্ডে উল্লেখ করা তথ্য সংশোধনের জন্যও নির্ধারিত হারে চার্জ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা ও প্রবিধিমালায় বিষয়টি ইতিমধ্যে কার্যকর করার কথা বলা হলেও এখনও ফ্রি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইসি। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় অনুমোদনপেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল ইসির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন পাওয়া গেছে। তবে কবে থেকে এই চার্জ আদায় করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ইসির এনআইডি উইং (জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ) থেকে বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবনায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এই চার্জ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। ইসি আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে চার্জ আদায়ের চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ফ্রি আইডি কার্ড পাওয়ার সুযোগ বহাল রাখা হচ্ছে।টাকা ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যাবে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুুল মোবারক বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা এবং ১০ সেপ্টেম্বর প্রবিধিমালা জারি করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী অনেক আগ থেকেই চার্জ আদায়ের কথা। কিন্তু ইসি এখনও এই সার্ভিসের ক্ষেত্রে কোনো অর্থ আদায় করছে না। আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হচ্ছে। এতে ইসি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সময়মতো অর্থ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, আগামীতে জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন, সংশোধন ও হারানোর কারণে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি দিতে হবে। প্রবিধিমালায় 'যথাশীঘ্র সম্ভব' চার্জ পরিশোধের স্থলে কমিশনের সময়মতো ফি পরিশোধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। চার্জ পরিশোধ কবে থেকে এবং কোন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।সম্প্র্রতি রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) থেকে ধারণা দেওয়া হয়, বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত ফি আদায়ের মাধ্যমে এনআইডির তথ্য যাচাই সেবা চালু হলে প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকার কাছাকাছি রাজস্ব আয় হতে পারে। এনআইডির সংশ্লিষ্টরা জানান, এনআইডির তথ্য সংরক্ষণ ও অনলাইনে এর যাচাই সেবা চালু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের বছরে দেড় কোটি টাকার মতো খরচ হবে। এ ছাড়া প্রতি ৫ বছর পর এই ইলেক্ট্রনিক তথ্যভাণ্ডারের যন্ত্রপাতি পরিবর্তনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এনআইডির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ব্যক্তি পর্যায়ে আইডি কার্ড নবায়নে ১০০ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে পেতে ১৫০ টাকা চার্জ দিতে হবে। হারানো বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন আইডি কার্ড পেতে প্রথমবার ২০০ টাকা, জরুরি ৩০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা, জরুরি ৫০০ টাকা এবং পরে প্রত্যেকবার ৫০০ টাকা এবং জরুরি এক হাজার টাকা চার্জ দিতে হবে।আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমবার ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরে যে কোনো বার ৪০০ টাকা লাগবে। কার্ডে উল্লেখ করা তথ্য-উপাত্ত সংশোধনে প্রথমবার ১০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ২০০ টাকা এবং পরে যে কোনো বার ৩০০ টাকা হারে চার্জ দিতে হবে। প্রস্তাবনায় জাতীয় তথ্যভাণ্ডার থেকে নিবন্ধনের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এককালীন নিবন্ধন চার্জ ৫ লাখ টাকা। প্রথম ৭০টি সাব-ইউজারের প্রতিটির জন্য চার হাজার টাকা এবং পরে প্রতিটি সাব-ইউজারের জন্য দুই হাজার টাকা দিতে হবে। এর বাইরে প্রতিটি তথ্য প্রতিবার যাচাইয়ের জন্য ২ টাকা। যাচাইকরণ চার্জের বিল পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে মোট বিলের শূন্য দশমিক ৫ ভাগ হারে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। সরকারি সংস্থা বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের জন্য এককালীন সার্ভিস চার্জ ৫ লাখ টাকা। বার্ষিক সেবা নবায়ন চার্জ এক লাখ টাকা। প্রতিটি তথ্য-উপাত্ত প্রতিবার যাচাইয়ের জন্য ১ টাকা হারে চার্জ দিতে হবে। ইসি সচিবালয় জানায়, প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই চার্জ পরিশোধ করেই বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইসির কাছ থেকে তথ্য যাচাইয়ের সুবিধা নিচ্ছে।বর্তমানে ৯ কোটি ২০ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত। সর্বশেষ হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত লাখ দশেক ভোটার এখনও জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ইসির এনআইডি উইং (জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ) থেকে বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবনায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এই চার্জ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। ইসি আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে চার্জ আদায়ের চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ফ্রি আইডি কার্ড পাওয়ার সুযোগ বহাল রাখা হচ্ছে।টাকা ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যাবে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুুল মোবারক বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা এবং ১০ সেপ্টেম্বর প্রবিধিমালা জারি করা হয়েছে।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.