google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html ‘গ্রেটদের সঙ্গে থাকাও বড় ব্যাপার’ - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Friday, November 7

‘গ্রেটদের সঙ্গে থাকাও বড় ব্যাপার’

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে এমনিতে খুব উৎসাহ নেই তাঁর। তবে এমন ঝলক দেখাতে থাকলে তো বারবার আসতেই হয়! এই টেস্টেই যেমন সংবাদ সম্মেলনে এলেন দুবার। প্রথমবার সেঞ্চুরির পর, কাল আরও বড় কীর্তি গড়ে। সাকিব আল হাসান কথা বললেন নিজের আর দলের অর্জন নিয়ে.....




:দারুণ এক রেকর্ড ছুঁলেন, কেমন লাগছে? 
সাকিব আল হাসান: রেকর্ড...এখনো জানি না ঠিক কোন রেকর্ডটা করেছি। কিছু একটা হয়েছে, একজন-দুজন করেছে...।
:একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে ইমরান-বোথামের পাশে বসা...
সাকিব: দলের জয়টাই আমার কছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জয়ে অবদান রাখাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
:প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট হওয়ার পর এমন কিছুর লক্ষ্য ছিল কি না...
সাকিব: লক্ষ্য এমন কোনো ছিল না। শুভ্রদা (প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র) আমাকে বলেছিলেন, এমন একটা রেকর্ড আছে। তারপর ওনাকে আমি বলেছিলাম, ‘মাথায় থাকল’। এর আগে জানতামই না এমন কিছু আছে। মাথায় থাকার কারণে একটু হয়তো ইচ্ছে ছিল...সবচেয়ে বড় কথা আমরা জানতাম আমাদের স্পিনার বা বোলারদের কেউ পাঁচ উইকেট নিতে পারলে আমাদের জেতার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ বেড়ে যাবে। এটা যে কেউ হতে পারে, তাইজুল, লিখন (জুবায়ের)। আমি ভাগ্যবান যে আমার ক্ষেত্রে জিনিসটা হয়ে গেছে।
:ফিরেই এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স!
সাকিব: ফেরা তো আগের ম্যাচেই হয়েছে। এই ম্যাচে আমার যতটুকু সম্ভব দলের জন্য করার ছিল আমি চেষ্টা করেছি।
:মিরপুর টেস্ট বা এখানে প্রথম ইনিংসের ৫ উইকেটের চেয়ে শেষ দিনের ৫ উইকেট বেশি গুরুত্বপূর্ণ কি না...
সাকিব: অবশ্যই, ওদের সামনে সুযোগ ছিল আড়াই সেশনের মতো ব্যাট করে ম্যাচটা ড্র করার। উইকেট নেওয়া খুব সহজ ছিল না এই উইকেটে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
:তৃতীয় দিন শেষে বলেছিলেন জিততে হলে তিনটি কঠিন শর্ত পূরণ করতে হবে। সেটাই হয়েছে, ভবিষ্যৎ দেখতে পান নাকি?
সাকিব: হা হা হা হা, নাহ, আমি ভবিষ্যৎ দেখায় বিশ্বাস করি না। তখন পরিস্থিতি অমনই ছিল। বলেছিলাম, এগুলো হলে আমাদের জেতা সম্ভব। আমাদের ভাগ্য ভালো যে সবকিছু ওভাবেই হয়েছে।
:শেষ দিকে শাহাদাত যখন ক্যাচ ছাড়লেন, বেশ খেপে গিয়েছিলেন মাঠে!
সাকিব: ওসব মাঠে একটু থাকেই। বিশেষ করে ওই সময়ে। উত্তেজনা ছিল তখন। আমি শেষ করতে পারলে আরও ভালো লাগত। তবে এমন নয় যে খারাপ লাগছে। আমার তো তখন ৫ উইকেট হয়েই গেছে... (হাসি)।
:শুধু আপনিই নন, বাংলাদেশ দলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এখন অনেকেরই ভালো হচ্ছে...
সাকিব: আমরা যখন শুরু করেছি ,তখন এক রকম পরিস্থিত ছিল। এখন আরেক রকম পরিস্থিতি আসছে। যত দিন যাবে আমাদের ক্রিকেট তত উন্নতি করতেই থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে উন্নতি করতে না পারলে দল হিসেবে উন্নতি করার সুযোগ কম থাকে। এখন দলে অনেক বেশি পারফরমার আছে, দলে অবদান রাখতে পারে বোলিং হোক বা ব্যাটিংয়ে। দলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। প্রথম টেস্টের পর তাইজুল যেমন বলেছে, ‘এখানে টিকে থাকতে হলে সবাইকেই পারফর্ম করতে হবে’। এই কথাটা আমারও মনে ধরেছে। জায়গা ধরে রাখতে হলে পারফর্ম করতেই হবে। আমার মনে হয় এই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দলে থাকারাই নয়, দলের বাইরে যারা আছে, যারা আগামী দিনে আসবে, তাদের মনে রাখা যে এখানে আসা অবদান রাখার জন্য। আর এটাই দায়িত্ব। এই কারণেই সবাই আসে বা সবাইকে বাছাই করা হয়।
:ক্যারিয়ারে দারুণ সব পারফরম্যান্সের অভাব নেই আপনার। এই ম্যাচের পারফরম্যান্সকে কোথায় রাখবেন?
সাকিব: পুরো ম্যাচের পারফরম্যান্স বিচার করলে তো অবশ্যই এটা ১ নম্বরে...এখন পর্যন্ত। তবে এর থেকেও তো আরও ভালো করা সম্ভব। খেলায় যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, যদি ধরে রাখতে পারি এটা কে জানে হয়তো আরও ভালো হতে পারে!
:ইমরান-বোথামের পাশে নিজের নাম দেখে কেমন লাগছে? সোবার্স-কপিলরা কেউ এটা করতে পারেননি!
সাকিব: যাঁদের নাম বললেন, তাঁরা এত বড়, গ্রেট গ্রেট খেলোয়াড়...তাঁদের সঙ্গে নাম থাকাও একটা বড় ব্যাপার। নাম আছে এটা ভালো লাগছে। কিন্তু আমার কাজ দলের হয়ে অবদান রাখা, যত ভালো সম্ভব পারফর্ম করা, দেশের হয়ে অবদান রাখা।


No comments:

Post a Comment

Thank you very much.