দেশের আলোচিত ৬৭ বছর বয়সে রেলমন্ত্রি মজিবুল হক মজিবের বিয়ে নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলেন রেলমন্ত্রির আলোচিত বিবাহিতা স্ত্রী হনুফা অক্তারের স্বামী প্রবাসী সোহেল রানা। যানা যায় আজ থেকে ৭ বছর আগে পরিবারিক ভাবে হনুফা আক্তার রিক্তার সাথে বিয়ে হয় সোহেল রানার। বিয়ে পর স্বামী সোহেল রানা চলে যায় প্রবাসে। ভোটর তালিকায় হনুফা আক্তার রিক্তার স্বামী হিসাবে সোহেল রানার নাম উল্লেখ করা হয়। এতে তার পিতার নাম উল্লেখ করা হয় হাবিবুল্লাহ মুন্সী, গ্রাম মিরাখোলা উপজেলা চান্দিনা।
স্ত্রী রিক্তার ইচ্ছে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার, তাই স্বামী সোহেল রানা প্রবাসে থেকেও স্ত্রী রিক্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে তাকে ঢাকায় পড়াশুনা করার জন্য পাঠায়। গ্রাম থেকে আসা রিক্তা ঢাকায় এসে তার চোখ খুলে যায়। সে দেখে রঙ্গিণ সপ্ন । আজ থেকে ৩ বছর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকরী জন্য তদবির করে রেলমন্ত্রির কাছে। তখনই রেলমন্ত্রির চোখে পরে রিক্তা।ভাল লাগা থেকে ভালবাসা। এভাবে তাদের মধ্যে চলে মন-আদান প্রদান। অপর দিকে স্বামী বেচারা সোহেল রানা আগাধ বিশ্বাস স্ত্রী উপর মাসে মাসে স্ত্রীর রিক্তা ভোরন পোশনের জন্য টাকা পাঠায়। এভাবে চলছে রেলমন্ত্রি মজিবের সাথে অবৈধ সম্পর্ক। এক পর্যায়ে লোক জানাজানি হবার ভয়ে সিদান্ত নেয় পরিনয়ের। এর পর সারাদেশে গণমাধ্যমে প্রচার হয় ৬৭ বছর বয়সে চিরকুমার থাকছেনা রেলমন্ত্রি। শুরু হয় রেলমন্ত্রির বিয়ের আনুষ্টনিকতা।
এদিকে বিয়ে উপলক্ষে কনে গ্রামের বাড়ি চান্দিনা উপজেলা মিরখোলা গ্রামে সরকারী খরচে রাস্তা মেরামত করা হয়। কনে বড়িতে করা হয় ২টি টিনসেট বিল্ডিং, সেখানে ২টি টয়টেলে এসি বসানো হয়।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিয়ে : জায়েজ নিয়ে প্রশ্ন
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। বয়স ৬৮। জীবনের পড়ন্ত বেলায় ফরজ কাজ আদায়ে বিয়ে করেছেন গত ৩১ অক্টোবর। কনে হনুফা আক্তার রিক্তার বয়স ৩০। পূর্ব ঘোষণায় ব্যাপক ধুমধামের মধ্য দিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ বিয়ে নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফরজ এ বিয়ে জায়েজ হয়েছে কি না।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব ১৯৪৭ সালের ৩১ মে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম রজ্জব আলী ও মাতা মৃত সোনাবান বিবি। ৮ ভাই ১ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। স্থানীয় উত্তর পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষালাভের পর ১৯৬৬ সালে কাশিনগর বি.এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি। ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭০ সালে বিকম পাশ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালের ৬দফা, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগ সরকারের ওই মেয়াদে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবারো হুইপ মনোনীত হন। ওই সময় সরকারের শেষ মেয়াদে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৩ সালে তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি জেলার চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ সরকারের এবারের মেয়াদেও তিনি পুনরায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক।
এ বিষয়ে কথা হয় আলহাজ্ব মাওলানা নাদিমুর রশীদ পীর সাহেবের সাথে। তিনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোনের আলোক জানিয়েছেন, মুসলমান কোন পুরুষ লোক প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরই বিয়ে করে তার উপর অর্পিত একটি অন্যতম ফরজ কাজ আদায় করা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্ত্রীর হক আদায়ে বিয়ের অন্যতম শর্ত হলো: শারিরক যোগ্যতা, ভরণ-পোষণের সাম্যর্থ ও স্ত্রীর নিরাপত্তাবিধান। এর যে কোন একটি শর্ত পূরণ করতে গিয়ে কালক্ষেপনে অপর কোন শর্ত লঙ্ঘিত হলে বিয়ে করা জায়েজ হবে না। কারন হিসেবে তিনি বলেন, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর বৈধ মিলনেও পর্যাপ্ত নেক লাভের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে পরিপূর্ণ চাহিদা মিটাতে অক্ষম হলে সে পাপের ভাগিদার হবে। এবং তার জন্য বিয়ে করা ফরজের পর্যায়ে পরবে না। তাই শুধু ভরণ-পোষণের সাম্যর্থ ও স্ত্রীর নিরাপত্তাবিধান ছাড়াও একজন পুরুষের শারিরক যোগ্যতাও অনেক গুরুত্ব রাখে। আলহাজ্ব মাওলানা নাদিমুর রশীদ পীর সাহেব আরো বলেন, একজন স্ত্রীলোক তার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে পড়েন। আর একজন পুরুষলোক শারিরকভাবে অক্ষম হলেও সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম। তাই সন্তান জন্ম দিতে পারাই একজন পুরুষের শারিরিক যোগ্যতার লক্ষণ নয়। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব তার স্ত্রীর হক আদায়ে ব্যর্থ জানার পরও যদি বিয়েতে সম্মতি দিয়ে থাকেন তাহলে এটি একরকম প্রতারনার পর্যায়ে পড়ে।
কনে হনুফা আক্তার রিক্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধর্মীয় বিধান অনুযায়ি কনে রিক্তা তার স্বামীর যে কোন অযোগ্যতার কারন দেখিয়ে ইচ্ছে করলে যে কোন সময় স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। অথবা তার স্বামী অবর্তমানে (মৃত্যুর পর) ইচ্ছে করলে আবারো অন্য কারো সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। এমন মানষিকতা পোষণ করে থাকলে এ বিয়ে রিক্তার জন্য বৈধ। এতে ধর্মীয় কোন নিষেধ নেই।


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.