হঠাৎ করে সরকার নিজেই যেন মাঠ গরম করে তুলতে চাইছে। এর কোনো হিসাব মেলাতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিগত মাসগুলোতে জামায়াতের সঙ্গে অঘোষিত এক ধরনের হানিমুন চলছিলো বলে সরকারেরই আচার-আচরণে প্রকাশ পাচ্ছিলো। কেউ কেউ একে আওয়ামী লীগ-জামায়াতের পরকীয়া সম্পর্ক বলেও আখ্যায়িত করছিলেন। কিন্তু, কেন সেই সম্পর্কে ফাটল ধরলো?
বিশেষ করে বাম’রা বলছেন, আওয়ামী লীগ তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এখন। নিজেদের আদর্শগত রাজনৈতিক অবস্থানকে বিতর্কিত করা উচিত হবে না, এটা আওয়ামী লীগ দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ এটাও বুঝতে পেরেছে, জামায়াত কৌশলগত কারণে এখন বিএনপির সঙ্গ থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও এটা সাময়িক। সুযোগ এবং সময়মতো তারা ঠিকই পুরনো ধারায় ফিরে যাবে। অবশ্য অন্যদিকে কেউ কেউ এটাকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নতুন কৌশল বলেও আখ্যায়িত করছেন। জনগণের চোখকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই সরকারের নীতিনির্ধারকরা এটা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে এমন ধারনা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যে একটি বিশেষ আঁতাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলে ছিলো। শুধু তাই নয়, রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেও অসুস্থতার অজুহাতে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছিলো। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ঝিমিয়ে গেছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে চরমভাবে বিব্রত এবং বিরক্তিও প্রকাশ করেছিলেন। আইনগত জটিলতা আছে বলে রায়ে জটিলতা হচ্ছে, এমন কথাও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। সেই বক্তব্য নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিলো। তার মধ্যেই গণজাগরণ মঞ্চের মূল উদ্যোক্তাদের নিগৃহীত করা হলো। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলার রায়ে তার শাস্তির পরিমাণ কমে গেলো। যদিও ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাঈদীর ফাঁসি ঘোষণা হয়েছিলো অনেকটা বিতর্কিত প্রক্রিয়ায়; তবু সবাই ধরেই নিয়েছিলো, আপিলের রায়ে শাস্তি কমবে না। এর কারণ হলো, মাওলানা সাঈদীকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে সরকার। কারো করো মতে, সাঈদীকে ফাঁসি দেওয়ার উদ্দেশ্যকে ঘিরেই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যখন শাস্তি কমে গেলো আপিলে তাতে সবাই নিশ্চিত হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাতের সত্যতায়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাঈদীর ফাঁসি হওয়ার পর গণজাগরণ মঞ্চ সেটিকে তাদের বিজয় হিসেবে দেখেছিলো। কারণ, তাদের দাবি ছিলো এটি। কিন্তু, পরবর্তীতে এসে আপিল বিভাগ যখন সাঈদীকে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন অর্থাৎ সাজা কমিয়ে দেন এতে তারা ক্ষুব্ধ হন। শাহবাগ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তারা বুঝতে পারেননি, এরমধ্যে সরকারের অবস্থান এতোটা পাল্টে গেছে। গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ওপর গরম পানি ছিটিয়ে, বেধড়ক পিটিয়ে শাহবাগ থেকে তাদের তাড়ানো হয়।
অবস্থান পরিবর্তন
গত কিছুদিনে সরকার আবার হঠাৎ করে যুদ্ধাপরাধী তথা জামায়াত নেতাদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও বিষয়গুলো আদালত কেন্দ্রীক কিন্তু সচেতন মানুষ মনে করেন এ সংক্রান্ত সব কিছুই ঘটছে সরকারের ইশারা-ঈঙ্গিতে। জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমের আপিল মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়, এমন মুহূর্তে তিনি পরপারে চলে যান।
নেতা-কর্মীরা গোলাম আযমকে শুধু জামায়াতের সাবেক আমীর হিসেবে নয়, দলের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে জানতেন। জামায়াতের মূল নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো তার কাছ থেকেই আসতো বলে মনে করা হতো। সেই গোলাম আযমের মৃত্যুতে জামায়াত নেতা-কর্মীরা যখন শোক-বিহ্বল আর তখনই একের পর এক ঘটছে জামায়াতের ওপর আঘাত। গোলাম আযমের মৃত্যুর মাত্র এক সপ্তার মধ্যেই জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়। মাঝে এক কার্যদিবসের পর দলের অর্থের মূল যোগানদাতা বলে পরিচিত মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আবার তার পরের দিনই অর্থাৎ ৩ নভেম্বর দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা কামারুজ্জামানের আপিল মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।
সর্বশেষ, সরকারের অবস্থানের এই পরিবর্তন সবাইকে হতবিহ্বল করে দিয়েছে। কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না কেন সরকার এভাবে হঠাৎ করে নিজেদের অবস্থানের এই পরিবর্তন ঘটালো। এমনকি সরকারের ঘনিষ্ঠদের মুখেও প্রশ্ন, কী হতে যাচ্ছে?
বিএনপি’র ধৈর্যধারণ
বিএনপি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে যে, আগামী জানুয়ারির আগে বিএনপি আন্দোলনে নামবে না। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাচ্ছে সরকার চিন্তা-ভাবনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। জানুয়ারির শুরু থেকেই তীব্র আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হবে। এবারের কর্মসূচি হবে ঢাকা কেন্দ্রীক। দীর্ঘ সময় নয়, অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের আন্দোলনে সরকারের পতন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত বা স্বল্প সময়টা হতে পারে ১৫ থেকে ২০ দিনের।
দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন মহলের চাপ, এমনকি সরকারের মন্ত্রীদের শত উস্কানিতেও এ মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়া রাজপথের আন্দোলনে নামতে রাজি নন। তিনি তাড়াহুড়ো করে আগোছালোভাবে কিছু করতে চান না। দেশ-বিদেশের পুরো সমর্থন নিয়ে তবেই মাঠে নামতে চান। বিদেশিরা তাকে কিছু আশ্বাস দিয়েছে, সেইসব আশ্বাসেরও একটা শেষ দেখতে চান। আশ্বাস বা কমিটমেন্টের কিছু ফয়সালা না করতে পারলে বিদেশিরাই নিশ্চয় বলবে, এবার তোমরা যা করার করো। সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছেন। কারণ, তিনি মনে করছেন, ক্ষমতা তার নাগালের কাছাকাছি। সামান্যর জন্য ধরতে পারছেন না। ভারতের বিগত সময়ের একগুঁয়েমির কারণেই হাতের মুঠো থেকে নাটাই ছুটে গিয়েছিলো। এখন সেই ভারতই আশ্বাস দিচ্ছে। কাজেই একটু ধৈর্য ধরতে সমস্যা কোথায়?
অর্থনীতির স্থবিরতা
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কারণ, ব্যবসায়ীসহ সকল মহলই চাচ্ছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তা নাহলে দেশের সার্বিক অথনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছিলো না। বিগত সময়গুলোতে মনে হচ্ছিলো, সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চায়। এজন্যই মূলত জামায়াতের সঙ্গে একটা গোপন আঁতাতের চেষ্টা করেছিলো সরকার।
কিন্তু, সরকারের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বিরোধীদলের আন্দোলন নেই, ভাঙচুর নেই তারপরও অর্থনীতির স্থবিরতা কাটছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য এখন পুরোপুরি স্থবির হয়ে আছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ী পর্যন্ত প্রায় সকলেই কমবেশি কষ্টের মধ্যে আছে। সবার মুখে একটাই কথা ‘ব্যবসা নেই’। ব্যাংকগুলোকে পর্যন্ত অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে। টাকা নিয়ে বসে আছে, কেউ ঋণ নিচ্ছে না। ব্যাংকের টাকা মেরে দেওয়ার উদ্দেশ্য যাদের এরা ছাড়া প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কেউই ব্যাংকের ধারে-কাছে যাচ্ছেন না। ভারি যন্ত্রপাতি আমদানি অনেক কম। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে এই যে, নতুন কল-কারখানা বা উৎপাদন কার্যক্রমে বিনিয়োগ নেই। আর এ কারণেই ব্যাংকগুলোতে অলস টাকার পাহাড় তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে ব্যাংকগুলো মহাসংকটে পড়েছে।
সরকারের তরফ থেকে যতোই বলা হচ্ছে মেয়াদ শেষে নির্বাচন, কিন্তু কেউ যেন বিশ্বাসই করতে চাচ্ছেন না এ কথা। তাই যতোবারই সুযোগ পাচ্ছেন সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করছেন- নির্বাচন ও আলোচনা প্রসঙ্গে। কারণ, সবাই চান, একটা কিছু হোক। গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে আন্দোলন-ভাঙচুর না থাকলেও কেউই এটাকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা অত্যন্ত জোর দিয়ে বলছেন, ২০১৯ সালের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। অর্থাৎ সেই পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় আছেন। তারপরও কেউ যেন এটাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। আর এ কারণেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানাবিধ কাজকর্মে মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। অর্থনীতির গতি থেমে আছে এখানেই।
সরকারের বিদেশ নীতিতে পরিবর্তন
আওয়ামী লীগ সরকার তাদের কূটনীতি বা বিদেশ নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যে মার্কিন দূত প্রায় এক বছর ধরে ঘুরেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তারপরও সাক্ষাত পাননি, সেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য উম্মুখ হয়ে রয়েছে এখন সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। এর কারণ হলো, আগে যে ভারতের একচেটিয়া সমর্থনে সরকার অন্য কোনো দেশের পরামর্শকে পাত্তা দেয়নি সেই ভারত থেকে এখন আর সে রকমের একগুঁয়ে সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিপূর্বে অর্থাৎ কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে ভারত সরকারের নীতি ছিলো যে কোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা, সেটা এমনকি এদেশের মানুষ না চাইলেও। সরকার পরিবর্তনের পর ভারতের ওই নীতির পরিবর্তন ঘটেছে। তারা এখন আর আগের মতো একগুঁয়ে নীতিতে নেই। এর কারণ হলো, নতুন সরকার বুঝতে পেরেছে- জনগণ চায় না বাংলাদেশে এমন একটি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে জোর খাটানোর পরিণতি এক সময় তাদের জন্যও বিপদ ডেকে আনতে পারে। এখানে জনসমর্থনহীন সরকার থাকাটা তাদের জন্যও নিরাপদ নয়। এই জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে ব্যবহার করে বাইরের রাষ্ট্রগুলো যে যার স্বার্থ হাসিল করে নেওয়ার চেষ্টা করবে, যা ভারতের জন্যও ক্ষতিকর।
শিগগিরই নির্বাচন?
জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের জানাজাসহ দাফনের সকল অনুষ্ঠান অত্যন্ত ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য সরকারের সহযোগী আচরণ ছিলো লক্ষণীয়। আর এ সহযোগিতার জন্য গোলাম আযমের পরিবার ও জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। অন্যদিকে একই সময়ে জামায়াত নেতারা বিএনপির ভূমিকায় ভেতরে ভেতরে সমালোচনা করেন। গোলাম আযমের ছেলে আমান আযমী তো প্রকাশ্যে লিখিতভাবে বিএনপিকে তুলোধুনো করে ছাড়েন। এসবের মধ্যেই নতুন করে সরকার জামায়াতের ওপর চড়াও হলো। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, আরেকটি নির্বাচন সম্ভবত ঘনিয়ে এসেছে।
বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতারা দেশে শিগগিরই আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা জোর দিয়ে বলছিলেন। দেশের সাধারণ মানুষও এমন একটা সম্ভাবনার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে সেই সম্ভাবনার কথা তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে দেন। তিনি মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা সরাসরি নাকচ করে দেন। কিন্তু সর্বশেষ, আরব আমিরাত সফর করে এসে প্রধানমন্ত্রী যে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাতে তিনি নির্বাচন প্রসঙ্গে অবস্থান পরিবর্তনের আভাস দেন। তিনি বলেন, সরকার চাইলেই যে কোনো সময় নির্বাচন দিতে পারে। এটা সরকারের অধিকার। অর্থাৎ গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা সরাসরি যে নাকচ করে আসছিলেন এবার তা করেননি। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর অনেকেই নতুন একটা নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছিলেন। তারমধ্যেই ঘটছে যুদ্ধাপরাধ এবং জামায়াত নিয়ে এমন লঙ্কাকা-।
মহাজোট সরকারের শেষের দিকেও জামায়াত নিয়ে এমন একটা হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো, এখন আবার সেই পরিস্থিতি। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরেকটি নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন।
Friday, November 14
হঠাৎ অস্থিতিশীলতা
About তারুণ্যের কণ্ঠস্বর
নব্বইয়ের আন্দোলনে আমরা যে গণতন্ত্র পেয়েছিলাম, তা ছিল শিশু। সেটার যত্ন যেভাবে নেয়া উচিৎ ছিল তার ধারে কাছেও কেউ যেতে পারে নাই। তাই গণতন্ত্র আজ বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে আমাদের গণতন্ত্র। তবে সময় ফুরিয়ে যায়নি। এখনো যদি আমরা সজাগ হই, যদি আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমকে গুরুত্ব দেই, তবে এই বিকলাঙ্গ গণতন্ত্রই আবার সোজা হয়ে পথ চলতে পারবে। তবে কথা হচ্ছে, যারা এটা করতে পারবে তারাই আজ ভিন্ন পথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই কামনা করি।
রাজনীতি
Tags
তারুণ্যের কণ্ঠস্বর,
রাজনীতি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.