মিরপুরে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে একাধিক টেস্ট জয়ের স্বাদ। খুলনায় জিতলেন সিরিজ। কাল তিনি ধবলধোলাইয়ের নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমের কণ্ঠে সেই তৃপ্তি—
সিরিজ শুরুর আগে ৩-০ ভাবতে পেরেছিলেন কি না—
মুশফিকুর রহিম: অবশ্যই ভাবনায় ছিল। আমাদের মাথায় ছিল পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে ফল এমনই আসবে। সেদিক থেকে বলব এটা অবিশ্বাস্য কিছু নয়, স্বাভাবিক আমাদের জন্য। জানতাম, আমাদের কন্ডিশনে আমাদের স্পিনারদের খেলাটা অনেক কঠিন হবে ওদের জন্য। বোলারদের অনেক বড় কৃতিত্ব। প্রথম টেস্টের পর ব্যাটসম্যানরাও যে রানটা দরকার ছিল, করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আসলে জানতাম মূল খেলোয়াড়েরা পারফর্ম করলে ৩-০ খুবই সম্ভব।
সফলতম টেস্ট অধিনায়ক—
মুশফিক: আমার আসলে খুব বেশি কৃতিত্ব নেই এখানে। আমাদের দলটা যেমন, যেভাবে খেলেছে সবাই, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কন্ডিশনে যে কেউ অধিনায়ক হলে এভাবেই জিতত। দলের জন্যও আসলে এটা ইতিবাচক দিক। এ বছর অনেক ম্যাচ আমরা কাছে গিয়েও হেরে গেছি। এই সিরিজে দুটি টেস্ট শেষ দিনে শেষ হলো। তার মানে যথেষ্ট ধারাবাহিকতা আমরা দেখাতে পেরেছি। আশা করব, এটা ধরে রাখতে পারব। মাশরাফি ভাই আসছে ওয়ানডে ম্যাচে। বেশ কজন নতুন খেলোয়াড় আসবে। জয়ের একটা ধারা ধরে রেখে যেন বিশ্বকাপে খেলতে যেতে পারি।
দিনের শুরুতে শুভাগত—
মুশফিক: আসলে শুভাগত এমন জায়গায় বল করে যে প্রতিটি বলই খেলতে হয়। আর উইকেট-কন্ডিশন এমন ছিল যে জানতাম অফ স্পিনার জায়গায় বল করতে পারলে খেলা অনেক কঠিন হবে। হয় ডিফেন্স করতে হবে, নয়তো শট খেলতে হবে। পরিকল্পনা না করে শুভগতকে খেলতে গেলে রক্ষণ করবে না আক্রমণে, এই ভাবনায় ভুল করে উইকেট দেবে। সেটাই হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়েছে সে।
শেষ দিনে সাকিবকে বোলিং কম দেওয়া—
মুশফিক: দেখুন, আমার কাছে বোলিংয়ে অনেক বিকল্প ছিল। সে আক্রমণাত্মক বোলার। আমার যখন মনে হয়েছে উইকেট দরকার তখন আমি সাকিবকে বোলিংয়ে এনেছি। আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বোলিং করানোর।
এই সিরিজে অনেক পারফরমার—
মুশফিক: সিরিজ শুরুর আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল সব সিনিয়র ক্রিকেটার যেন পারফর্ম করে। পুরো সিরিজটা যেন লিড করে। তারা পেরেছে, সবাইকে স্পেশাল থ্যাংকস। যে রকম রিয়াদ ভাই, সাকিব-তামিম অনেক অনেক ভালো খেলেছে। আমরা সিনিয়ররা জুনিয়রদের প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার চেষ্টা করেছি যেন ওরা উপভোগ করে এবং চাপ না নেয়। ওরা সেই কাজটাই করেছে। তাই তাইজুল অবশ্যই ভালো। সর্বোপরি এটা দলীয় প্রচেষ্টা। স্পেশাল ধন্যবাদ ম্যানেজমেন্টকে, তারা খুব ভালো পরিকল্পনা করেছে।
৩-০ যা বলছে, আসলেই দুদলের পার্থক্য এমন কিনা—
মুশফিক: আমাদের কন্ডিশনে তো অবশ্যই। প্রথম টেস্টে ১০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে একটু এলোমেলো হয়েছে। ওই সেশনটা ছাড়া গোটা সিরিজে আর কখনো মনে হয়নি ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কোনো সেশন হয়তো সমান সমান হয়েছে, কিন্তু কখনই ওরা এগিয়ে ছিল না। ঘরের মাঠে আমাদের এভাবেই দাপট দেখিয়ে খেলা উচিত। এমন যদি নাও হয়, অন্তত আমরা যেন পাঁচ দিন ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, তা যত বড় দলের বিপক্ষেই হোক না কেন। পরের সিরিজে সুযোগ আসবে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
ওয়ানডেতে আর অধিনায়ক নন—
মুশফিক: কিছুদিন পরে হয়তো বুঝব অনুভূতিটা, হয়তো...প্রথম ওয়ানডে খেলার পর! আগে যেমন দল কেমন হতে পারে, কে কে খেলতে পারে, সবকিছুই হোমওয়ার্ক করে রাখার চেষ্টা করতাম। এবারও করছিলাম সপ্তাহ খানেক আগে, হঠাৎ করে খেয়াল হলো এখন তো আমি ওয়ানডে ক্যাপ্টেন নেই। তার পরও যদি মাশরাফি ভাই চায়, চেষ্টা করব সাহায্য করার। ক্যাপ্টেন হই আর সাধারণ খেলোয়াড়, নিজের দায়িত্ব পালন করে যাব। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি ভাইয়ের চেয়ে কোনো ভালো বিকল্প নেই। ৩-০ করে দিয়ে গেলাম, আশা করব ওয়ানডেতেও তিনি এটা ধরে রাখবেন।
Monday, November 17
About তারুণ্যের কণ্ঠস্বর
নব্বইয়ের আন্দোলনে আমরা যে গণতন্ত্র পেয়েছিলাম, তা ছিল শিশু। সেটার যত্ন যেভাবে নেয়া উচিৎ ছিল তার ধারে কাছেও কেউ যেতে পারে নাই। তাই গণতন্ত্র আজ বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে আমাদের গণতন্ত্র। তবে সময় ফুরিয়ে যায়নি। এখনো যদি আমরা সজাগ হই, যদি আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমকে গুরুত্ব দেই, তবে এই বিকলাঙ্গ গণতন্ত্রই আবার সোজা হয়ে পথ চলতে পারবে। তবে কথা হচ্ছে, যারা এটা করতে পারবে তারাই আজ ভিন্ন পথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই কামনা করি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment
Thank you very much.