ইতালিতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র কারলোতা সামি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি ৮০০ জন নিহত হয়েছে।’
জীবিত উদ্ধার হওয়া আরোহীদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, নৌযানটিতে ১০-১২ বছর বয়সী শিশুসহ আট শর কিছু বেশি আরোহী ছিল। তাঁদের মধ্যে সিরিয়ান, দেড় শ জনের মতো ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়ার অভিবাসী ছিলেন। অভিবাসীদের নিয়ে নৌযানটি গত শনিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ত্রিপোলি ছাড়ে।
লিবিয়া থেকে ইউরোপ অভিমুখে রওনা হওয়া নৌযানটি শনিবার মধ্যরাতে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। ৭০ ফুট লম্বা মাছ ধরার নৌযানটির আরোহীদের মধ্যে মাত্র ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ জনের মরদেহ।
নৌযান ডুবিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া পাচারকারী নৌযানের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ক্যাপ্টেন ও ক্রু গ্রেপ্তার
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৮ জন কোস্টগার্ডের জাহাজে করে গতকাল সোমবার ইতালির সিসিলিতে এলে নৌযানের ক্যাপ্টেন ও এক ক্রুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ক্যাপ্টেন তিউনিসিয়ার এবং ক্রু সিরিয়ার অধিবাসী বলে বলা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভূমধ্যসাগরে নৌযান ডুবিতে শত শত অভিবাসীর প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল লুক্সেমবার্গে জরুরি বৈঠক করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
ইইউ মন্ত্রীদের বৈঠকে ভূমধ্যসাগর এলাকার অভিবাসী সংকট লাঘবে ১০ দফাসংবলিত এক কর্মপরিকল্পনা পেশ করা হয়। ইইউ মন্ত্রীরা সংস্থার সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধি ও পাচারকারীদের ধরার মাধ্যমে অভিবাসীদের প্রাণহানি বন্ধের প্রচেষ্টা জোরদারের অঙ্গীকার করেন।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়া সংকটের জের ধরে সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে বছরের এই সময়ে সাগর কিছুটা শান্ত থাকায় বিভিন্ন আকারের ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে করে শত শত মাইল দূরের ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে অভিবাসীরা।
ভূমধ্যসাগরে নৌযান ডুবিতে শত শত অভিবাসীর প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল লুক্সেমবার্গে জরুরি বৈঠক করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
ইইউ মন্ত্রীদের বৈঠকে ভূমধ্যসাগর এলাকার অভিবাসী সংকট লাঘবে ১০ দফাসংবলিত এক কর্মপরিকল্পনা পেশ করা হয়। ইইউ মন্ত্রীরা সংস্থার সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধি ও পাচারকারীদের ধরার মাধ্যমে অভিবাসীদের প্রাণহানি বন্ধের প্রচেষ্টা জোরদারের অঙ্গীকার করেন।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়া সংকটের জের ধরে সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে বছরের এই সময়ে সাগর কিছুটা শান্ত থাকায় বিভিন্ন আকারের ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে করে শত শত মাইল দূরের ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে অভিবাসীরা।
No comments:
Post a Comment
Thank you very much.