২০১৪ এর জুনে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতীয় দলে ছিলেন না ধোনি, কোহলি ও রোহিত শর্মা সহ সিনিয়র ক্রিকেটাররা। একটি বছর, বদলে গেছে অনেক কিছু, হিসেব এখন অন্যরকম, সেই হিসেবটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও ঠিক মতই কষেছে। ফলাফল – ভারত তাদের শতভাগ শক্তি নিয়েই নামতে যাচ্ছে লড়াইয়ে। আর তাইবা নয় কেন? প্রতিপক্ষ যে বদলে যাওয়া দুর্দান্ত এক বাংলাদেশ।
এছাড়াও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত – বাংলাদেশ খেলাটির পরবর্তী প্রেক্ষাপট এই সিরিজটাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। তাই লড়াইটা শুধু যে এখন শুধুমাত্র মাঠেই সীমাবদ্ধ নেই সেটা সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ভক্তদের কথাযুদ্ধে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। মাঠের খেলার আরো কিছুদিন বাকি থাকলেও দু-দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মাঝে উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে বেশ আগে-ভাগেই।
ফতুল্লায় ১০ জুন শুরু হতে যাচ্ছে সিরিজের একমাত্র টেস্ট। এখানে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি হয়েছিল তা প্রায় ১০ বছর আগে। ফতুল্লার কথা উঠতেই মনে পড়ে যায় ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট এর কথা। শাহরিয়ার নাফিসের অনবদ্য সেঞ্চুরী করা সে ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪২৭ করার পর ২য় ইনিংসে টার্গেট দিয়েছিল ৩০৭ রানের। ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া অনেকটা হারতে হারতেই জিতে গিয়েছিল। মাত্র ৩ উইকেটে সেই জয় কোটি কোটি টাইগার ভক্তদের হৃদয় ভাঙলেও সেই ম্যাচটিই আজকের টাইগারদের আত্মবিশ্বাস যোগানোর পাশাপাশি ভক্তদেরও আশায় বুক বাঁধতে অনুপ্রাণিত করবে।
বাংলাদেশ সফরে ১৫ সদস্যের ভারতীয় টেস্ট দলটি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাঠানো দলটিরই যেন একটি প্রতিচ্ছবি মাত্র। সেই দলে ছিলেন না শুধু এই দলের অভিজ্ঞ স্পিনার হরভজন সিং।
বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের আধিক্যের কথা মাথায় রেখেই দলে রাখা হয়েছে দুইজন ডান হাতি স্পিনারকে। রবি চন্দ্র অশ্বিন ও হরভজন সিং ব্যাটিংয়েও যে কিছুটা পারদর্শী সেটার প্রমাণ তারা আগেও দিয়েছেন। সুতরাং সময়ের অপ্রতিরোধ্য এক টাইগার বাহিনীর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে শক্তিশালী এক ভারতীয় দল।
মাঠের জমজমাট লড়াই, অসংখ্য ভক্তের তর্ক-বিতর্ক আর এদেশের মাটিতে ভারত বধের সুযোগ - সব মিলিয়ে ক্রিকেটীয় উত্তেজনা আর বিনোদনে ভাসার অপেক্ষায় গোটা দেশ।
Write Credit: Abu Jafor Siddique

