২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যখন সাকিবের অভিষেক হয়, তখন বিষয়টা এমন ছিল যে, বাংলাদেশ নিজেদের দিনে যে কোন দলকে হারাতে পারে। সেই সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটের র্যাংকিং-এ বাংলাদেশের কেউ একক রাজত্ব করে বেড়াবে, এমনটা ভাবা যেত না। দলে যখন কিছুটা পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে, সেই পথ ধরেই সাকিব আল হাসানের অন্তর্ভুক্তি। তারপর?
এরপর শুধু দেশের ক্রিকেটেই নয়, বিদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি আলো ছড়ালেন। আইপিএল, সিপিএল, বিগ ব্যাশ, কাউন্টি ক্রিকেট, চ্যাম্পিয়ন’স লিগ- সব জায়গাতেই তার সরব উপস্থিতি। যখন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ৪-১-৬-৬ বোলিং ফিগার দেখে বিশ্বের ক্রিকেট বোদ্ধারা নির্বাক হয়ে যান, বিগ ব্যাশ বা কাউন্টি ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকাররা যখন একজন সাকিব এবং সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন, যখন ইডেন গার্ডেনসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে ৭০ হাজার দর্শক ‘সাকিব সাকিব’ ধ্বনিতে বুদ হয়ে থাকে তখন আসলে একজন বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তের আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করার মত থাকে না।
আজ সেই সাকিবই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০, তিন ফরমেটেই বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। এক টেস্টে শতরান ও ১০ উইকেট নিয়ে বসেছেন স্যার ইয়ান বোথাম এবং ইমরান খানের মত কিংবদন্তির পাশে। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট? সেটা এখন এমনই উচ্চতায় যে পাকিস্তানকে হোয়াইটয়াশ করার ঘটনাও এখন অনুমেয়ই মনে হয়। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট নানা সময়ে নানা কিংবদন্তির হাত ধরে বদলে গেছে। গত এক দশকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই যে অগ্রগতি, সেখানেও কিন্তু সাকিব আল হাসান নামক এক নক্ষত্রের প্রতিচ্ছবি বরাবরই দৃশ্যপটে তাঁর বর্ণিল আলো ছড়িয়ে যায়।
Write Credit : Shayokh Mission

