নির্বাচকদের কাজটাও তাতে অনেক সহজ হয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। যদিও দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচকের কথায় অন্য আভাস। লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনের দলভুক্তি প্রসঙ্গে পরাজয়ের সুর তাঁর কণ্ঠে, ‘নির্বাচকেরা দল নির্বাচন করলেও তাতে অধিনায়ক এবং কোচের গুরুত্বপূর্ণ মতামত থাকে। দুজনই অনেক জোরালোভাবে চেয়েছেন জুবায়ের দলে থাকুক। মাঠে যেহেতু অধিনায়কই দল পরিচালনা করেন এবং পরিকল্পনাটা করেন কোচ, আমরা তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছি।’ ১৪ জনের দলে যখন এসেছেনই, ফারুকের আশা জুবায়ের থাকবেন একাদশেও, ‘আমরা মনে করি ভারতের বিপক্ষে টেস্টে লিখনকে (জুবায়ের) খেলানো উচিত। নইলে তার মধ্যে যে প্রতিভা আছে বলে বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক বোঝা যাবে না।’
জুবায়ের ছাড়া আর কারও অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য ছিল না বলেই জানা গেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন টেস্টে ২৯.২৭ গড়ে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন জুবায়ের, সর্বশেষ টেস্টে ছিল ইনিংসে ৫ উইকেটও। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে থাকলেও একাদশে ছিলেন না। ঢাকা টেস্টে খেলার কথা থাকলেও ম্যাচ শুরুর আগে পায়ের গোড়ালিতে সমস্যার কারণে আর খেলা হয়নি। এবার জুবায়েরের স্কোয়াডে থাকায় অনিশ্চয়তা দেখে কোচ হাথুরুসিংহে নাকি এ ব্যাপারে বোর্ড সভাপতির হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন। প্রধান নির্বাচক অবশ্য দাবি করলেন, এ রকম কিছু তাঁর জানা নেই।
শুভাগত হোম চৌধুরীর শুরুটা ব্যাটসম্যান হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি খেলেছেন বিশেষজ্ঞ অফ স্পিনার হিসেবে। এবারও দলে সেই পরিচয়েই। সোহাগ গাজী ২৩ জনের প্রাথমিক দলেও নেই। তাই শুভাগতকেই হাতে থাকা সেরা অফ স্পিনার ধরছেন নির্বাচকেরা।
সৌম্য সরকারের জায়গায় নাসির হোসেন নয় কেন, আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার পেছনে যুক্তি—এসব প্রশ্নও উঠেছে সংবাদ সম্মেলনে। ফারুক অবশ্য দ্বিতীয় প্রসঙ্গটা ঠেলে দিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের কোর্টে, ‘একাদশ কী হবে, সেটা কোচ-অধিনায়কই ঠিক করে। আমাদের শক্তি যেহেতু ব্যাটিংয়ে, টেস্ট ড্র করতে চাইলে আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার চিন্তাটাকে হয়তো ভুল বলা যাবে না। তবে আমার ব্যক্তিগত মত, সাত ব্যাটসম্যান আর চার বোলার নিয়ে খেলাই যথেষ্ট।’ আর নাসির ও সৌম্যর মধ্যে সৌম্যকে এগিয়ে রাখার কারণ হিসেবে বললেন, ‘সৌম্য তরুণ, প্রতিভাবান। ছয়-সাত বা আট, এই জায়গাগুলোর জন্য ও আদর্শ ব্যাটসম্যান। আরেকজন ব্যাটসম্যান নিলে হয়তো আমরা নাসিরের কথা চিন্তা করতাম।’