বল হাতে বিরাট কোহলি আর অজিঙ্কা রাহানেদের মুখোমুখি হতে অবশ্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে মাশরাফিকে। ফতুল্লা টেস্টের পর তিন দিনের বিরতি দিয়ে তবেই না ওয়ানডে সিরিজ। সেরে ওঠার জন্য মাশরাফি সময় পাচ্ছেন, তবে একমাত্র টেস্টটা খেলার আগে ভারত কিন্তু খুব একটা সময় পাচ্ছে না বাংলাদেশে এসে। সে কারণেই কাল সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখার কয়েক ঘণ্টা পরই দুপুরে অনুশীলনের জন্য মিরপুরে হাজির কোহলির দল। ভারত অবশ্য ফতুল্লাতেই অনুশীলন করতে চেয়েছিল। কিন্তু একই সময় ফতুল্লা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলন থাকায় মিরপুর একাডেমি মাঠেই সেটা সারতে হয়েছে কোহলিদের।
এমনিতেই ভারতীয় দল সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলে। সকালে বিমানবন্দরে নেমে মুখে তালা মেরে রাখলেন ভারতের খেলোয়াড়েরা। অনুশীলনের আগে-পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার রীতিও ভারত অনেক দিনই মানছে না। কালও যেমন আগেই জানিয়ে দেওয়া হলো, কেউ কথা বলবেন না। টেস্ট নিয়ে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ভাবনার কথা জানতে তাই আজ দুপুরে ফতুল্লায় অনুশীলনের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের জন্যই অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কলকাতায় ফিটনেস ক্যাম্প শেষে দেশ ছেড়ে আসার আগে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন কোহলি-শাস্ত্রী। সেখানেই কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন একমাত্র টেস্টে জয় পেতে কতটা উদ্গ্রীব তিনি, ‘আমরা অনেক শিখেছি, আমার মনে হয় না এখন আমাদের কিছু শেখার মানসিকতা নিয়ে খেলার দরকার আছে। অবশ্যই আপনি খেলতে খেলতে সব সময়ই কিছু না-কিছু শিখবেন, এমনকি টিভিতে খেলা দেখেও। কিন্তু আমরা অনেক দিন ধরে খেলছি। এখন শিখতে নয়, জেতার জন্য খেলতে চাই।’ বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশ সফরের আগে কথাটা বললেও কোহলি সেটি সামগ্রিক অর্থেই বলেছেন।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেটির কোনো প্রভাবও এই সিরিজে পড়বে বলে মনে করেন না কোহলি, ‘আমরা সেখানে যাচ্ছি খেলতে ও টেস্ট ম্যাচটা জিততে। আপাতত তাতেই আমাদের মনোযোগ। এমন নয় ওদের ব্যাপারে আমাদের কোনো ঈর্ষা, আক্রোশ বা ঘৃণা আছে। খাঁটি ও সাধারণ পেশাদারি বজায় থাকবে।’ প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে সমীহ করার কথা বললেন ভারতীয় দলের পরিচালক শাস্ত্রীও, ‘আমরা প্রতিটি প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। বাংলাদেশও তেমনই একটি প্রতিপক্ষ।’
প্রায় দুই বছর জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকার পর আবার টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন ভারতীয় অফ স্পিনার হরভজন সিং। তাঁর অভিজ্ঞতা ভারতের খুব কাজে লাগবে বলেও মনে করেন শাস্ত্রী, ‘আমরা হরভজনের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাই। সে দারুণ খেলোয়াড় এবং তার অভিজ্ঞতা দিয়ে দলে অনেক কিছু যোগ করবে। তবে বোলিং আক্রমণটা সব বোলারকে নিয়েই, এখানে একা কেউ নেতৃত্ব দেবে না।’ তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

