সবকিছু ঝেড়ে ফেলে টি২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এখনকার একমাত্র চিন্তা আগামীকালের ম্যাচে ভারতকে হারানো। আর সেটা করতে পারলে অনেক হিসাবই পাল্টে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দু’দিন আগে বড় দু’টি ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানিকে হারানোর ধাক্কাটা সঙ্গে নিয়েই ষষ্ঠ টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অসিদের মুখোমুখি হয় তারা। ফলাফল- লড়াই করে ৩ উইকেটে হার। ফলে সেমিফাইনালে উঠার পথটা অনেকখানি কঠিন হয়ে যায় টাইগারদের। এমন অবস্থায় আগামীকাল বুধবার শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সবদিক দিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ, সেমির আশা বাচিঁয়ে রাখতেই টিম ইন্ডিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
দুর্দান্ত এক পারফরমেন্সের রেশ ধরে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। পাকিস্তান-শ্রীলংকাকে হারিয়ে এশিয়ার কাপের রানার্স-আপের তকমাটা গায়ে এটানো মুখের কথা নয়। সে কাজটি বাস্তবে করে দেখিয়েছে মাশরাফির দল।
এশিয়া কাপের এমন পারফরমেন্সে আত্মবিশ্বাসের ভান্ডারটার ভরপুরই ছিলো বাংলাদেশের। তার প্রমান মিলে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচের দু’টিতে জিতে সুপার টেনের টিকিট কাটে টাইগাররা।
কিন্তু এখানে এসেই যেন সব কেমন যেন অগোছালো হয়ে গেল। গত এক বছর বোলিং-এর দুর্দান্ত করা বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কাছে হারে বোলারদের বাজে নৈপুন্যের কারনে। তারপরও এমন হারে টাইগারদের আত্মবিশ্বাস চিড় ধরে না।
কিন্তু গত ১৯ মার্চ স্তব্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ। বোলিং অ্যাকশন অবৈধর কারণে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে তাসকিন ও আরাফাত সানিকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলের দুই সেরা খেলোয়াড়কে হারানোর ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তারা। তারপরও এমন অবস্থায় মাঠে জবাব দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মাশরাফি।
মাঠে জবাবটা দিচ্ছিলেনও মাশরাফিবাহিনী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই জবাবটা আনন্দে রুপ নেয়নি। বিষাদে পরিণত হয়েছে। কারন অসিদের কাছে হারে সেমিফাইনালের পথ কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার টেনে শেষ দু’ম্যাচ তো জিততেই হবে। সেই সাথে রান রেট ও অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে নজরও রাখতে হবে তাদের। তবে এসবগুলো কাজই অনেক কঠিন বাংলাদেশের জন্য। কারন তাসকিন-সানিকে হারানোর পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিল নিয়ে মহা যন্ত্রনায় পড়েছে বাংলাদেশ। তাতে দিশেহারাও তারা। কি থেকে কি করবে বুঝতে উঠতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সহজ পন্থাই অবলম্বন করেছেন বাংলাদেশ দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সবকিছুর চিন্তা বাদ দিয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবতে চান তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই ফোকাস বেশি দিচ্ছি আমরা। এ ম্যাচ জিতলেই পরবর্তী অবস্থা ও ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করা যাবে।’
চিন্তা বাংলাদেশের অনেক। তবে চিন্তাটা একদম নেই বললেই চলে ভারতের। কারণ প্রথম ম্যাচ যাচ্ছেতাইভাবে হারের পর কোলকাতায় চিরপ্রতিন্দ্বন্দি পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে এখন অনেক বেশি চাঙ্গা টিম ইন্ডিয়া। এই চাঙ্গাভাবটা দিয়ে বাংলাদেশকে ঘায়েল করে সেমির পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়াই প্রথম লক্ষ্য ভারতের।
তাই ম্যাচের আগের দিন ভালোভাবেই গা গরম করে নিয়েছে ধোনির দল। সববিভাগেই অনুশীলন করেছে তারা। বাংলাদেশ বিশ্রামে থাকলেও, ভারত অনুশীলন করেছে মনোযোগ দিয়ে। আর এমন অনুশীলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, বাংলাদেশকে সিরিয়াসভাবে নিচ্ছে ভারত।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, নাসির হোসেন, আবু হায়দার রনি, নুরুল হাসান, সাকলাইন সজীব, শুভাগত হোম চৌধুরী, আল-আমিন হোসেন, মোহাম্মদ মিথুন, সৌম্য সরকার ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত স্কোয়াড : মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), রবীচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ, শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বিরাট কোহলি, মোহাম্মদ সামি, পাওয়ান নেগি, আশিষ নেহরা, হার্ডিক পান্ডে, আজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, রোহিত শর্মা ও যুবরাজ সিং।
দুর্দান্ত এক পারফরমেন্সের রেশ ধরে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। পাকিস্তান-শ্রীলংকাকে হারিয়ে এশিয়ার কাপের রানার্স-আপের তকমাটা গায়ে এটানো মুখের কথা নয়। সে কাজটি বাস্তবে করে দেখিয়েছে মাশরাফির দল।
এশিয়া কাপের এমন পারফরমেন্সে আত্মবিশ্বাসের ভান্ডারটার ভরপুরই ছিলো বাংলাদেশের। তার প্রমান মিলে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচের দু’টিতে জিতে সুপার টেনের টিকিট কাটে টাইগাররা।
কিন্তু এখানে এসেই যেন সব কেমন যেন অগোছালো হয়ে গেল। গত এক বছর বোলিং-এর দুর্দান্ত করা বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কাছে হারে বোলারদের বাজে নৈপুন্যের কারনে। তারপরও এমন হারে টাইগারদের আত্মবিশ্বাস চিড় ধরে না।
কিন্তু গত ১৯ মার্চ স্তব্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ। বোলিং অ্যাকশন অবৈধর কারণে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে তাসকিন ও আরাফাত সানিকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলের দুই সেরা খেলোয়াড়কে হারানোর ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তারা। তারপরও এমন অবস্থায় মাঠে জবাব দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মাশরাফি।
মাঠে জবাবটা দিচ্ছিলেনও মাশরাফিবাহিনী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই জবাবটা আনন্দে রুপ নেয়নি। বিষাদে পরিণত হয়েছে। কারন অসিদের কাছে হারে সেমিফাইনালের পথ কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার টেনে শেষ দু’ম্যাচ তো জিততেই হবে। সেই সাথে রান রেট ও অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে নজরও রাখতে হবে তাদের। তবে এসবগুলো কাজই অনেক কঠিন বাংলাদেশের জন্য। কারন তাসকিন-সানিকে হারানোর পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিল নিয়ে মহা যন্ত্রনায় পড়েছে বাংলাদেশ। তাতে দিশেহারাও তারা। কি থেকে কি করবে বুঝতে উঠতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সহজ পন্থাই অবলম্বন করেছেন বাংলাদেশ দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সবকিছুর চিন্তা বাদ দিয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবতে চান তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই ফোকাস বেশি দিচ্ছি আমরা। এ ম্যাচ জিতলেই পরবর্তী অবস্থা ও ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করা যাবে।’
চিন্তা বাংলাদেশের অনেক। তবে চিন্তাটা একদম নেই বললেই চলে ভারতের। কারণ প্রথম ম্যাচ যাচ্ছেতাইভাবে হারের পর কোলকাতায় চিরপ্রতিন্দ্বন্দি পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে এখন অনেক বেশি চাঙ্গা টিম ইন্ডিয়া। এই চাঙ্গাভাবটা দিয়ে বাংলাদেশকে ঘায়েল করে সেমির পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়াই প্রথম লক্ষ্য ভারতের।
তাই ম্যাচের আগের দিন ভালোভাবেই গা গরম করে নিয়েছে ধোনির দল। সববিভাগেই অনুশীলন করেছে তারা। বাংলাদেশ বিশ্রামে থাকলেও, ভারত অনুশীলন করেছে মনোযোগ দিয়ে। আর এমন অনুশীলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, বাংলাদেশকে সিরিয়াসভাবে নিচ্ছে ভারত।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, নাসির হোসেন, আবু হায়দার রনি, নুরুল হাসান, সাকলাইন সজীব, শুভাগত হোম চৌধুরী, আল-আমিন হোসেন, মোহাম্মদ মিথুন, সৌম্য সরকার ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত স্কোয়াড : মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), রবীচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ, শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বিরাট কোহলি, মোহাম্মদ সামি, পাওয়ান নেগি, আশিষ নেহরা, হার্ডিক পান্ডে, আজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, রোহিত শর্মা ও যুবরাজ সিং।
No comments:
Post a Comment
Thank you very much.