জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট পরাজয় দিয়ে শুরু। প্রায় বছর জুড়েই বাংলাদেশ দল ঘুরপাক খেল ব্যর্থতার আবর্তে। অবশেষে ব্যর্থতার চোরাবালি থেকে উঠতে পেরেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বছরের শেষ টেস্ট সিরিজ খেলল মুশফিকুর রহিমের দল। সেই সিরিজেই ‘বাংলাওয়াশ’।
এ সিরিজটা ছিল বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার, নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের। বলা যায়, মুশফিকের দল সব বিভাগেই সফলভাবে উত্তীর্ণ। পুরো সিরিজে নানা অর্জন ছিল বাংলাদেশের। উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো আরেকবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
* ঢাকায় প্রথম টেস্টে ইতিহাস গড়লেন তাইজুল ইসলাম। ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস-সেরা বোলিং এখন তাইজুলের।
* টেস্টে বাঁ হাতি স্পিনে সেরা বোলিংয়ে তাইজুলের অবস্থান তিনে।
* ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়ার পর আটটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষেই ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের। বাকি রইল কেবল অস্ট্রেলিয়া।
* খুলনা টেস্টে রেকর্ড বইয়ের আরেক পাতায় ঠাঁই নিলেন সাকিব। একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি এত দিন ছিল মাত্র দুজনের—ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের। এই রেকর্ডের সর্বশেষ সংযোজন সাকিব।
* চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের উদ্বোধনী জুটিতে উঠল ২২৪ রান। উদ্বোধনী জুটিতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।
* এই প্রথম একই ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। এক টেস্টে দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিও এই প্রথম।
* চট্টগ্রামে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরিতে তামিম ছুঁলেন আশরাফুলকে। ৬১ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরি ছিল আশরাফুলের, তামিম ছুঁয়ে ফেললেন সেটি ৩৭ টেস্টেই।
* টেস্টে চতুর্থবারের মতো ৫০০ রান করল বাংলাদেশ। ৫০০ বা এর চেয়ে বেশি রান করে এই প্রথম জিতল বাংলাদেশ।
* ১২ টেস্টে ৪ সেঞ্চুরি হয়ে গেল মুমিনুল হকের। মাত্র ১২ টেস্টে এত দ্রুত একাধিক সেঞ্চুরি পাননি আর কোনো বাংলাদেশর ব্যাটসম্যান ।
* টানা ৯ টেস্টে ফিফটি ছুঁয়েছেন মুমিনুল। এবি ডি ভিলিয়ার্সের টানা ১২ টেস্ট ফিফটির রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ আছে তাঁর সামনে।
* হাবিবুল বাশারকে ছাপিয়ে টেস্টে এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মুশফিক। ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া এবং জয় তুলে নেওয়ায় বাংলাদেশের বাকি অধিনায়কদের ছাড়িয়ে গেলেন। ১৯ টেস্টে মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি, হার ১০ ও ড্র ৫টিতে।
* তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এই প্রথম প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
Monday, November 17
Tags
# Aside
About তারুণ্যের কণ্ঠস্বর
নব্বইয়ের আন্দোলনে আমরা যে গণতন্ত্র পেয়েছিলাম, তা ছিল শিশু। সেটার যত্ন যেভাবে নেয়া উচিৎ ছিল তার ধারে কাছেও কেউ যেতে পারে নাই। তাই গণতন্ত্র আজ বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে আমাদের গণতন্ত্র। তবে সময় ফুরিয়ে যায়নি। এখনো যদি আমরা সজাগ হই, যদি আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমকে গুরুত্ব দেই, তবে এই বিকলাঙ্গ গণতন্ত্রই আবার সোজা হয়ে পথ চলতে পারবে। তবে কথা হচ্ছে, যারা এটা করতে পারবে তারাই আজ ভিন্ন পথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই কামনা করি।
Aside
Tags
Aside
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment
Thank you very much.