google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে মাঠে নামছে টাইগাররা - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Tuesday, November 11

হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে মাঠে নামছে টাইগাররা

লক্ষ্য ছিল সিরিজ জয়। প্রথম দুটি ম্যাচেই জয় পাওয়ায় সিরিজের ট্রফিটা তাই নিশ্চিতভাবেই থাকছে বাংলাদেশে। সেই সাথে নিশ্চিত হয়েছে একধাপ এগিয়ে জিম্বাবুয়েকে হটিয়েই টেস্ট রেংকিংয়ের ৯ম স্থানটি। এবার বাংলাদেশের লক্ষ্য সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতে জিম্বাবুয়াইনদের হোয়াইটওয়াশ করা। তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি আগামীকাল শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামে।




বাংলাদেশের লক্ষ্য যেখানে হোয়াইটওয়াশ, জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ব্যবধান কমানো বা নুন্যতম হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। তবে চট্টগ্রামের মাটিতে এটা যে কঠিন তা মানছে জিম্বাবুয়েও। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের পারফরমেন্স বরাবরই সন্তোষজনক। তবে খারাপ সময় পার করে প্রথম দুই ম্যাচ জেতা বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা পা রাখছেন মাটিতেই। আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন কি না, এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুশফিক বলেন, ‘আমার মনে হয় না এরকম কোনো ব্যাপার আছে। এই বছর আমরা কয়টা ম্যাচ হেরেছি। আমাদের প্রমাণ করার অনেক কিছুই আছে। যেহেতু আমরা টেস্ট খুব বেশি খেলার সুযোগ পাইনা অন্য দেশগুলোর তুলনায়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি টেস্টেইই আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু একটা থাকে প্রমাণের জন্য। আমরা সবাই মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিততে। এরকম সুযোগ সব সময় আসে না। আমরা চাইব যে ওয়ানডে সিরিজের আগে যেন আমাদের জয়গুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা সম্ভব হয়।’

আজকের অনুশীলনে ছিলেন না সব ক্রিকেটার। এই ম্যাচকে তাই কিছুটা হালকাভাবে দেখছেন খেলোয়াড়েরা এ কথা বলাই যায়। তবে মুশফিক সতর্ক থাকছেন যথেষ্ট। সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভুল-ত্রুটি শোধরানোর জন্য এই ম্যাচটাই কার্যকরী। কোন কোন জায়গায় নতুন করে উন্নতি দরকার এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেছেন, ‘প্রথমে অবশ্যই ফিল্ডিং। কিছু ক্যাচ আমাদের ড্রপ হয়েছে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হয়েছে বিধায় সমস্যা হয়নি। কেননা আমরা অনেক চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি তাদের ওপর। আমার মনে হয় বড় কোনো দলের সঙ্গে হলে এরকম সুযোগ তারা কখনই দেবে না কোনো ব্যাটসম্যানকে। আমাদের ওই জায়গাগুলোতে আরও ইমপ্রুভ করার আছে। আমরা যাতে অনেক সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। পেস বোলিং বিভাগে হয়তো পেসাররা খুব বেশি উইকেট নেয়নি। কিন্তু আমার মনে হয় দ্রুত তারা চেষ্টা করছে, কমপক্ষে ঢাকায় যেটা হয়েছে দ্রুত ২-১ উইকেট তুলে নিয়েছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিংয়ে দু’একটি ছোট খাটো ভুল আমাদের হয়েছে। এটা যেন আমরা না করি। সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলতে হবে সেটার প্রমাণ ২-১ জন করেছে। এই টেস্টে যারা সেট থাকবে তারা যেন বড় ইনিংস খেলতে পারে। আমার মনে হয় এই কয়েকটা ছোট খাটো জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।‘

রেংকিংয়ে বাংলাদেশ এখন জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে। রেংকিংয়ের প্রশ্ন উঠতেই মুশফিক বললেন, ‘এই চিন্তাটা আসলে ২দিক থেকে কাজ করতে পারে। একদিক থেকে বললে চাপে তো অবশ্যই রাখে। র‌্যাঙ্কিং তো অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর। যতই খেলেন না কেন আলটিমেটলি যদি জয় পাওয়া সম্ভব না হয় কিংবা পয়েন্ট অর্জন না হলে আসলে তো কোনো লাভ নেই। সে দিক থেকে বললে অবশ্যই এটা চাপ সৃষ্টি করছে আমাদের ওপর। অন্যদিক থেকে বললে আমাদের মোটিভেশন অন্যরকম থাকে। আমরা টেস্ট ম্যাচ অন্যদের তুলনায় কম খেলি। আমাদের ভেতরে এই জেদটা কাজ করে। যেহেতু এখন আমাদের সামনে সিরিজটা ৩-০ করে শেষ করার সুযোগ এসেছে, তা-ই করতে চাই। আইসিসিকে মেসেজ দিতে চাই, বাংলাদেশ দল ভালো এবং প্রভাব বিস্তার করে ক্রিকেট খেলতে পারে। ওয়ানডে যে নতুন নিয়ম হয়েছে এটা আমাদের মাথায় থাকবে। আমাদের মাঠেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। আমরা সবকয়টা ম্যাচ যদি জিততে পারি, তবে আবার একটা মেসেজ দিতে পারব।’

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ ভালো খেলে আইসিসিকে জবাব দিক, এটাই এখন ক্রিকেটপ্রেমিদের আশা।

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.