এ নিয়ে তিনটি টেস্ট খেলে ফেললেন, যদিও জাতীয় দলের রঙিন জার্সি গায়ে চাপানোর সৌভাগ্য হয়নি এখনও। অভিষেক হয়েছিল সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলের অন্তর্ভুক্ত হয়েই। নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতেও দেরী করেননি। অভিষেক ইনিংসেই নিয়েছিলান ৫টি উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে খুব ভালো করতে না পারলেও তিনটি উইকেট ছিল তাঁর ঝুলিতে।
জিম্বাবুয়ের লো-স্কোরিং প্রথম ইনিংসের পর বড় লিড নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও তা করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। মাত্র দুই দিনেই প্রথম দুই ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের ফল হিসেবে ড্র দূরে সরে যাচ্ছিল, আর সামনে ছিল হার না হয় জিত। ফলে যেকোনোভাবেই জিম্বাবুয়েকে কম রানে আটকে রাখার টার্গেট ছিল বোলারদের। সেই কাজটা বলতে গেলে একাই করেছেন তাইজুল। নিজেই শিকার করেন জিম্বাবুয়ের ২য় ইনিংসের ৮টি উইকেট। ফলে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০১ রানের।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে একটা সময় জয়কে কঠিনই করে ফেলে টাইগাররা। টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের সব ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মধ্যে একপ্রান্ত আগলে রেখেও কুলোতে পারছিলেন না অধিনায়ক মুশফিক। কিন্তু তাইজুল এসে সহজ করে দেন মুশফিকের কাজ। উইকেটে আটকে থেকে বল মোকাবেলা করে যাচ্ছিলেন স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান না হয়েও। শেষ পর্যন্ত ২৩ বল মোকাবেলা করে ১৫ রান করা তাইজুলের ব্যাট থেকেই এসেছে জয়সূচক চারটি রান; রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে তাও আবার বল সীমানা পার করে…
ম্যাচ জিতিয়েছেন, ম্যান অব দ্যা ম্যাচও হয়েছেন। সেই সাথে একটি রেকর্ডেরও মালিক হয়ে গেলেন বাঁহাতি এই অফস্পিনার। জিম্বাবুয়ের ২য় ইনিংসে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার এখন তাঁরই। আগের রেকর্ডটি ছিল অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের, ৩৬ রানে ৭ উইকেট। সাকিবের রেকর্ডটি টিকে ছিল ৬ বছর, তাইজুলের রেকর্ড কয়দিন টিকবে ?


No comments:
Post a Comment
Thank you very much.