google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html ফিফার ৭ কর্তা জুরিখে গ্রেপ্তার - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Wednesday, May 27

ফিফার ৭ কর্তা জুরিখে গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া ৭ ফিফা কর্তা বাম দিক দিয়ে (ওপরে) : রাফায়েল এসকুইভেল, নিকোলাস লিওজ, জেফরি ওয়েব, জ্যাক ওয়ার্নার বাম দিক দিয়ে (নিচে) : এডুয়ার্ডো লি, ইগুইনো ফিগুয়েরেদো, হোসে মারিয়া মারিন।  ছবি: এএফপিগ্রেপ্তার হওয়া ৭ ফিফা কর্তা বাম দিক দিয়ে (ওপরে) : রাফায়েল এসকুইভেল, নিকোলাস লিওজ, জেফরি ওয়েব, জ্যাক ওয়ার্নার বাম দিক দিয়ে (নিচে) : এডুয়ার্ডো লি, ইগুইনো ফিগুয়েরেদো, হোসে মারিয়া মারিন। ছবি: এএফপিশুক্রবার ফিফার সভাপতি পদে নির্বাচন। এ নিয়ে জুরিখে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সদর দপ্তর সরগরম। কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা, ছোটাছুটি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণা, রাজনীতির মারপ্যাঁচ। সবকিছু মুহূর্তেই স্তব্ধ অভাবনীয় এক ঘটনায়। দুর্নীতির দায়ে জুরিখের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ফিফার ক্ষমতাশালী ৭ কর্মকর্তা। নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি আজ বুধবার এই সংবাদ জানিয়েছে। 
এই ৭ কর্তা হলেন ফিফার সহ সভাপতি জ্যাক ওয়ার্নার, কনমেবল (লাতিন আমেরিকা) সভাপতি নিকোলাস লিওজ, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি হোসে মারিয়া মারিন, কোস্টারিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এডুয়ার্ডে লি, ভেনেজুয়েলা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রাফায়েল এসকুইভেল, কনক্যাকাফ সভাপতি জেফরি ওয়েব এবং কনমেবল সহ সভাপতি ইগুইনো ফিগুয়েরেদো। 
ফিফার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ—এমন একটি খবর চাউর হয় আগেই। ওই খবরেই ফিফার শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সুইস সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার ব্যাপারটি জানিয়েছিল জুরিখ পুলিশ। ৭ ফিফা কর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগের অনুরোধেই। 
এএফপি জানিয়েছে, বিভিন্ন সময় ফুটবল-সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এই ৭ কর্তা লাখ লাখ ডলার ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন। টেলিভিশন স্বত্ব কেনা-বেচা, বিপণন ও পৃষ্ঠপোষকতার ব্যাপারে এঁরা ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন। এই কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রীড়া বিপণন প্রতিষ্ঠান ও ফুটবল-ভিত্তিক গণমাধ্যম জড়িত আছে বলে জানা গেছে। 
সুইজারল্যান্ডের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অনুরোধেই এই কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঁরা সবাই ১৯৯০ সাল থেকে ফুটবল-সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ হাজির করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এঁরা সবাই দুর্নীতি করেছেন বলেই এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়েছে। 
আজই এ ব্যাপারে ফিফা একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে। ফিফার অন্যান্য কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে শুক্রবার ফিফা সভাপতি পদে নির্বাচনে সেপ ব্ল্যাটারের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইন বলেছেন, ‘ফিফার এই ৭ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের এই দিনটি ফুটবল দুনিয়ায় কালো দিন হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’


Prothom Alo