google-site-verification: googlefee13efd94de5649.html একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য একজন জিয়াউর রহমানের ভূমিকা - তারুণ্যের কন্ঠস্বর

HeadLine

News Update :

Sunday, August 10

একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য একজন জিয়াউর রহমানের ভূমিকা

মুক্তিযোদ্ধা, সেনাপ্রধান এবং প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান  



১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।

This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the direction of Bangobondhu Mujibur Rahman, hereby declare that Independent People's Republic of Bangladesh has been established. At his direction , I have taken the command as the temporary Head of the Republic. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bengalees to rise against the attack by the West Pakistani Army. We shall fight to the last to free our motherland. Victory is, by the Grace of Allah, ours. Joy Bangla.  

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনকে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ন মানলেও এটাকেই স্বাধীনতার ঘোষনা মানতে নারাজ অনেক ইতিহাসবিদ। এমনকি ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন কিনা সেটা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুই পক্ষের যুক্তিগুলো এবং তাদের পক্ষের ডকুমেন্টসগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এই প্রতিবেদনে । ২৬ মার্চে জিয়ার ঘোষনা নিয়ে দ্যা ব্যাংকক পোষ্টে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে দেখা যায় জিয়া নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষনা দিয়েছিলেন।



পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে বিশ্বের অনেক পত্রপত্রিকায় একই ধরনের নিউজ হয়।

৩০ মার্চ প্রকাশিত বোকা রাতন নিউজে দাবি করা হয়  বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছ। যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং মেজর জিয়া অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।



২৮ মার্চ নিউ দিল্লীতে বার্তা সংস্থা   এপির বরাত দিয়ে একই সংবাদ প্রকাশিত হয়







একই বিষয়ে অন্যান্য পত্রিকার খবর





 

বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান তার একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা বইয়ে জিয়া নিজেকে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষনা করেছিলেন বলে দাবি করেন।



 

এ প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল কে.এম.সফিউল্লাহ, বীর উত্তম, মুক্তি বাহিনীর ৩নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাবাহিনী প্রধান, যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ১৯৮৯ সালে তাঁর রচিত Bangladesh at war গ্রন্থে লিখেন, “Having settled his score with his commanding officer on the night of march 25, Zia decided to take his battalion on the outskirts of the city to re-organise, strengthen and then launch a decisive blow on Chittagong. All troops were collected at a place near patiya.

……All the troops then took an oath of allegiance to Bangladesh. The oath was administered by Zia at 1600 hrs on March 26. Thereafter, he distributed 350 soldiers of East Bengal Regiment and about 200 troops of East Pakistan Rifles to various task forces under command of an officer each. These task forces were meant for the city. The whole city of Chittagong was divided into various sectors and each sector was given to a task force. After having made these arrangements, Zia made his first announcement on the radio on March 26. In this announcement apart from saying that they were fighting against Pakistan army he also declared himself as the head of the state. This, of course, could have been the result of tension and confusion of the moment.  As the battalion began to gather strength, in the afternoon of March 27, Zia made another announcement from the Shawadhin Bangla Betar Kendra established at Kalurghat. The announcement reads as follows:

a.      “I Major Zia, provisional commander–in chief of the Bangladesh liberation army, hereby proclaim, on behalf of Sheikh Mujibur Rahman, the independence of Bangladesh.”

b.      “I also declare, we have already formed a sovre, legal government under Sheikh Mujibur Rahman which pledges to function as per law and the constitution.”

c.       “The new democratic government is committed to a policy of non-alignment in international relations. It will seek friendship with all nations and strive for international peace.”

d.      “I appeal to all governments to mobilize public opinion in their respective countries against the brutal genocide in Bangladesh”

e.       “The government under Sheikh Mujibur Rahman is sovereign legal government of Bangladesh and is entitled to recognition from all democratic nations of the world”.
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি ডিক্লাসিফাইড করা বাংলাদেশ সংক্রান্ত দলিলপত্রে জিয়া নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করেছিলেন বলে উল্লেখ আছে
, “On March 27 the clandestine radio announced the formation of a revolutionary army and a provisional government under the leadership of a Major Zia Khan.”



 

করাচীর প্রখ্যাত দৈনিক Dawn ২৭ নভেম্বর ১৯৭১ ভিন্নতর একটি সংবাদ পরিবেশন করে, “They mentioned the name of Ziaur Rahman, who had proclaimed the independence of Bangladesh declaring himself as head of independent government. He corrected the following day presumably under pressure by saying that the government was set up under the leadership of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. The Washington Post further reported that General Osmany, Commander-in-Chief of Bangladesh Muktibahini had sacked sector commander Ziaur Rahman. It was intriguing that in spite of censorship this news item was carried in Pakistan controlled newspapers”.

 

The Daily Telegraph, ২৯ শে মার্চ ১৯৭১ রিপোর্ট করে,“The clandestine Radio Bangladesh, thought to be in the isolated tea plantation area in the north of province last night announced that a provisional government had been set up, headed by Major Jia Khan, chief of the Bangladesh `Liberation Army’, since March 25.” (International Press on Bangladesh Liberation war by Dr. M.D.Husain, 1989).

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল কামাল মহিউদ্দিন তার বইয়ে লিখেছেন. জিয়া নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষনা দিয়েছিলেন



পাকিস্তানি জেনারেল সিদ্দিক শালিকের বইয়ে বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে



২৫ তারিখ রাতে আওয়ামীলীগের দলীয় ঘোষণা ছিল- ২৭ মার্চ হবে হরতাল, যা ২৬শে মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকসহ সকল পত্রিকায় ছাপা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সহ-অধিনায়ক একে খোন্দকার, এসআর মির্জা ও মঈদুল হাসান (মুক্তিযুদ্ধকালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও মূলধারা৭১ গ্রন্থের প্রণেতা) রচিত প্রথমা (প্রথম আলো) প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথপোকথন’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ২৫ মার্চ পর্যন্ত যুদ্ধের জন্য কারো কাছ থেকে কোনো নির্দেশ আসেনি। জহুর আহমেদ চৌধুরী নিজে তাজউদ্দিনকে বলেছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষনার ব্যাপরে তাকে কিছুই বলা হয়নি। এমনকি স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য তাজউদ্দিন আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে একটি চিরকুট লিখে এবং টেপরেকর্ডার নিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তাতে শেখ মুজিব স্বাক্ষর করেননি এবং রেকর্ড করতে রাজী হননি। “তাজউদ্দীন আহমদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি যখন তাঁকে বললেন, ‘মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে, কেননা কালকে কী হবে, আমাদের সবাইকে যদি গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না কী তাদের করতে হবে।’ এই ঘোষণা কোনো না কোনো জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাব। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে। শেখ সাহেব তখন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।’ এ কথার পিঠে তাজউদ্দীন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ৯টার পর পরই ৩২ নম্বর ছেড়ে চলে যান।” যদিও পরের দিন কাঙ্খিত একটি স্বাধীনতার মেসেজ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ছাত্র-জনতা স্বতস্ফূর্তভাবে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছিল। ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব আনন্দ পাবলিশার্সকে নিজ স্বাক্ষরে দেয়া বাণীতে ২৫ শে মার্চ স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেননি, বলেছেন ৭ই মার্চের কথা। আর দেশ স্বাধীন হবার পরে ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিব তো নিজেই বলেছেন, আমি ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেইনি, কারণ আমি পাকিস্তান ভাঙতে চাইনি। তার মানে এটা অত্যন্ত পরিস্কার শেখ মুজিব আটকের আগে স্বাধীন দেশের ঘোষণা দিয়ে যেতে পারেন নি ।

lhW b„m„m„c copy576468_616498535030726_2022307763_n

No comments:

Post a Comment

Thank you very much.